দাবায় কাজিয়া, সচিবের বিরুদ্ধে তোপ দিব্যেন্দুর

বিসিএ সচিবের বিরুদ্ধে দিব্যেন্দুর আরও অভিযোগ, ‘‘অতনুবাবু রাজ্যের অনেক দাবা খেলোয়াড়কেই প্রতিযোগিতায় নামতে দেন না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৯ ০৪:৩৩
Share:

ক্ষুব্ধ: সচিবের একনায়কতন্ত্র নিয়ে সরব দিব্যেন্দু। ফাইল চিত্র

বাংলা দাবায় হঠাৎই বিতর্কের কালো মেঘ!

Advertisement

রাজ্য সংস্থা বেঙ্গল চেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএ) সচিব অতনু লাহিড়ীর বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করে স্বার্থ সংঘাত, দুর্নীতি ও একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ আনলেন অর্জুন দিব্যেন্দু বড়ুয়া। বলে দিলেন, ‘‘বাংলার দাবায় অনেক কিছুই নিয়ম মেনে চলছে না। সচিব অতনু লাহিড়ী নিজের ইচ্ছেমতো সংস্থা চালাচ্ছেন।’’

এ দিন কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাব তাঁবুতে সাংবাদিক সম্মেলন করে দিব্যেন্দু অভিযোগ করেন, ‘‘গত ১২ বছর ধরে একটি দাবা প্রতিযোগিতা আয়োজন করতাম। চলতি বছরে এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের ব্যাপারে অতনুবাবু প্রথমে মৌখিক ভাবে অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরে তিনি সরকারি অর্থ নয়ছয় করছেন বলে আমি প্রতিবাদ করায় ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই প্রতিযোগিতা বন্ধ করেছেন তিনি।’’

Advertisement

বিসিএ সচিবের বিরুদ্ধে দিব্যেন্দুর আরও অভিযোগ, ‘‘অতনুবাবু রাজ্যের অনেক দাবা খেলোয়াড়কেই প্রতিযোগিতায় নামতে দেন না।’’ এ প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান খেলোয়াড় দিলীপ দাস এবং খুদে দাবাড়ু স্নেহা হালদারের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

দিব্যেন্দুর আরও অভিযোগ, ‘‘বিসিএ সচিব একটি বেসরকারি সংস্থার ডিরেক্টরের পদে রয়েছেন। যে সংস্থা জনজাতিদের মধ্যে দাবা খেলার প্রসারে কাজ করে। এ কাজ করতে গিয়ে সরকারি অর্থ নয়ছয় করেছেন তিনি।’’

যাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, সেই অতনুবাবু এই মুহূর্তে রয়েছেন চিনে। সেখান থেকেই তিনি বলেন, ‘‘সব অভিযোগ মিথ্যে। নিয়ম অনুযায়ী যে প্রতিযোগিতায় জিতলে ফিডে রেটিং মেলে, সেই প্রতিযোগিতাকে গুরুত্ব দিই। ওই সময়ে দুর্গাপুরে এ রকমই একটি প্রতিযোগিতা থাকায় দিব্যেন্দুর প্রতিযোগিতা আমাদের ক্যালেন্ডারে জায়গা পায়নি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দিলীপ দাস বলে যে খেলোয়াড়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তিনি বিসিএ-তে নথিবদ্ধ নন। আর স্নেহা এই মুহূর্তে আমার সঙ্গে চিনে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে এসেছে। মাত্র একটি প্রতিযোগিতায় শৃঙ্খলাজনিত কারণে আয়োজকরা ওকে অনুমতি দেয়নি। সেখানে আমি আয়োজক ছিলাম না।’’

অতনুবাবু আরও বলেন, ‘‘সরকারি অর্থ নয়ছয় করার অভিযোগও মিথ্যা। জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় দাবার প্রসারে সরকারি অনুদান পেয়েছিলাম। সেটা আমার সংস্থার সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে চুক্তি হয়েছিল সংশ্লিষ্ট দফতরের। রাজ্য সংস্থার নয়। সেখানে ছাত্রদের ও ক্লাসের সংখ্যা অনুযায়ী, অনুদান পেয়েছি। সেই টাকা আমি কী ভাবে ব্যবহার করেছি তা জানাতে আমি দায়বদ্ধ সরকারি এজেন্সির কাছে। দিব্যেন্দু আমার সংস্থার ব্যাঙ্কের তথ্য আমার অজান্তে প্রকাশ করে ফৌজদারি অপরাধ করেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement