ছিলেন রাজস্থান রয়্যালসে। আইপিএল নাইনে নামবেন পুণে সুপারজায়ান্টসের হয়ে। কতটা চ্যালেঞ্জের সেটা? অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপ্টেন কী ভাবে মানিয়ে নেবেন ধোনি, দু’প্লেসি, পিটারসেনদের সঙ্গে? বিরাট কোহালির সঙ্গে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা কতটা? একটি ওয়েবসাইটে যা বললেন স্টিভন স্মিথ...
প্রশ্ন: অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট টিমের বস হয়েও এমএস ধোনি, কেভিন পিটারসেন, ফাফ দু’প্লেসিদের সঙ্গে একই দলে খেলার অনুভূতি কেমন?
স্মিথ: ক্যাপ্টেন্সির দিক থেকে আমাদের দলে এত অভিজ্ঞতা দেখে দারুণ লাগছে। অবশ্যই এই দলের অধিনায়ক ধোনি আর নিজের মতো করেই ও ক্যাপ্টেন্সিটা করবে। এ বার কাছ থেকে দেখতে চাই ধোনি কী ভাবে অধিনায়কত্ব করে।
প্র: রাজস্থান রয়্যালসে রাহুল দ্রাবিড়কে দেখার অভিজ্ঞতা আছে আপনার। কোচ হিসেবে দ্রাবিড় কেমন বলে মনে হয়? দ্রাবিড়ের ভারতের কোচ হওয়ারও একটা কথা চলছে...
স্মিথ: ভারতের কোচ হিসেবে দ্রাবিড় দারুণ কাজ করতে পারবে বলে মনে হয়। তার উপর খেলোয়াড় থাকার সময় থেকেই রাহুলকে সবাই খুব সম্মান করে। খুব ভদ্র। রয়্যালসেও খুব ভাল কাজ করেছে, আন্তর্জাতিক কোচ হিসেবে রাহুলের সাফল্য না পাওয়ার কোনও কারণ নেই।
প্র: অস্ট্রেলিয়া কেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারল না?
স্মিথ: বিরাট কোহালি! আমাদের জিততে দিল না ও। বিরাটের ইনিংসটাই শেষ করে দিল আমাদের আশা। তা ছাড়া টুর্নামেন্টের গোড়ার দিকে নিউজিল্যান্ড ম্যাচেও আমরা সুযোগ নষ্ট করেছি।
প্র: মাঠে স্টিভ স্মিথ প্রচণ্ড ফোকাসড, সাফল্যের জন্য উদগ্রীব এমন এক জন। মাঠের বাইরের স্মিথ কি একেবারে অন্য রকম?
স্মিথ: হয়তো তাই। মাঠে নামলে যে দলের জার্সিতেই থাকি না কেন সফল হতেই হবে এই চেষ্টাটা থাকে, তা সে অস্ট্রেলিয়া হোক বা রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টস।
প্র: আপনি, কেন উইলিয়ামসন, জো রুট আর বিরাট কোহালি এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। আপনারা কি একে অন্যের পারফরম্যান্সের খোঁজ রাখেন, কোনও প্রতিযোগিতা আছে নিজেদের মধ্যে?
স্মিথ: সে রকম কিছু না। সবাই সেরা প্লেয়ার হওয়ার চেষ্টা করে। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার এত দাপট, প্রচুর টুইট পাই, কে কেমন খেলছে সেই নিয়ে। অবশ্যই এরা সবাই গত ক’য়েক বছর ধরে দারুণ খেলছে। আমাদের খেলার স্টাইল আলাদা। তবে নিজেদের মধ্যে লড়াই বলে সে রকম কিছু নেই।
প্রশ্ন: নতুন আইপিএল দলের হয়ে খেলাটা কতটা চ্যালেঞ্জের? বিশেষ করে যখন দেখছেন আর পাঁচটা দল কোর গ্রুপ ধরে রাখার ব্যাপারে অনেকটা এগিয়ে..
স্মিথ: ব্যাপারটা সোজা নয়। অন্য দলে আইপিএলের গোড়া থেকেই কোর গ্রুপ প্রায় একই আছে সেটাও দেখতে পাই। তাতে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া আরও ভাল থাকে। একে অন্যের গেমপ্ল্যান বুঝতে পারে। নতুন টিম হিসেবে আমাদের এমন একটা গেমপ্ল্যান করতে হবে, যেটা খুব তাড়াতাড়ি সফল হয়। আমি নিশ্চিত এমএসের হাতে অনেক লুকোনো তাস আছে।
প্র: বলা হয় মাঠে স্লেজিংয়ের মাত্রাটা আইপিএলের জন্য অনেক কমে যায়। কিন্তু ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অন্য রকম। অ্যাডিলেডে আপনার আর বিরাটের মধ্যে মাইকের সামনে কী হয়েছিল?
স্মিথ: আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলাম। তাই নয় কি? দু’জন প্লেয়ার দলের জন্য উত্তপ্ত তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে অনেক সময়। তবে আমরা জানি একটা সীমা রয়েছে সব কিছুর। যদিও আমাদের দু’একজন মাঝে মাঝে সীমাটা পার করে ফেলে।
প্র: অস্ট্রেলীয় দলের সতীর্থ, যারা আইপিএলে আপনাদের প্রতিপক্ষ, তাদের খবর টিমে দিয়ে সাহায্য করাটা কতটা শক্ত?
স্মিথ: এটা খুব একটা গুরুতর ব্যাপার বলে আমার মনে হয় না। এখন সবাইকে নিয়েই প্রচুর ফুটেজ পাওয়া যায়। কয়েকটা কথা টিমের সঙ্গে শেয়ার করলে তেমন ক্ষতি হয় না। তাই আমায় যদি অস্ট্রেলিয়া দলের সতীর্থদের নিয়ে টিমে জিজ্ঞাসা করা হয়, আমি ওদের দুর্বলতা কোথায়, যতটা সম্ভব বলতেই পারি।
প্র: ক্রিকেট ছাড়া আর কোন খেলা আপনার পছন্দের?
স্মিথ: গল্ফ, টেনিস, রাগবি ভাল লাগে। আগাস্টা মাস্টার্সও দেখি। আমি সুইংটা করতে পারি কিন্তু নিশানা ঠিক থাকে না। বল যেখানে সেখানে চলে যায়। আর যেটা ভাল লাগে সেটা টেনিস। আমার প্রিয় খেলোয়াড় রজার ফেডেরার। কিংবদন্তি। খুব ভাল মানুষ।
প্র: ফেডেরার আর গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পারবে বলে মনে হয়?
স্মিথ: আমার মনে হয় জিততে পারে। উইম্বলডনেই হয়তো রজারের সেরা সুযোগ।