ফাফ দু’প্লেসি ভাবতেও পারেননি, চোখের সামনে এ জিনিস কখনও দেখতে হবে বলে। গত কয়েক বছর ধরে ভারতে নিয়মিত আইপিএল খেলতে আসছেন। ভারতীয়দের ক্রিকেট-প্যাশন যে কিছুটা ভিন্ন, জানতেন। কিন্তু জানতেন না যে তার বহিঃপ্রকাশ এ ভাবে ঘটতে পারে।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির আবার মনে হয়, খুব ভুল কিছু হয়নি। যা ক্রিকেট খেলেছে তার টিম, তার বিচারে প্রতিক্রিয়াটা হয়েছে। তিনি যা নিয়ে খুব আশ্চর্য নন। বাড়াবাড়ি রকম ভাবনাতে যেতে তিনি রাজি নন। আর বোতল-টোতল যা এসেছে, তা নিয়ে ভয়ের কিছুও তেমন ছিল না।
এক কথায়, কটকের কলঙ্ক নিয়ে দুই অধিনায়ক দুই অভিমত পেশ করে গেলেন।
“আরে, বিশাখাপত্তনমে একবার আমরা একটা ম্যাচ জেতার পরেও মাঠে বোতল ছোড়া হয়েছিল। আসলে কেউ একজন এটা একবার করলে, বাকিরাও শুরু করে। আর এই ঘটনাটাকে আমি খুব বাড়াবাড়ি ভাবে দেখতেও রাজি নই। কারণ খুব কমই বোতল মাঠে এসে পড়েছে। ভয়ের কিছু ছিলও না। খারাপ খেলেছি, তাই এটা হয়েছে,” সোমবার গভীর রাতে বরাবাটির সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বলছিলেন ধোনি। এবং ভারত অধিনায়কের যে বক্তব্য কিছুতেই মেলানো যায় না দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের সঙ্গে। যিনি স্পষ্ট বলে গেলেন, ক্রিকেট মাঠে এমন কিছু ঘটনা ঘটা অবাঞ্ছিত যা প্লেয়ারের নিরাপত্তাকে সমস্যায় ফেলতে পারে। বললেন, “ভারতে আবেগটা যে একটু বেশি আমি জানি। কিন্তু ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা বলেও তো একটা ব্যাপার থাকে।”
ঠিক তেমনই উল্টো দুই টিমের অবস্থান। দু’প্লেসি হুঙ্কার দিয়ে গেলেন যে, টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে প্রাপ্ত আত্মবিশ্বাস তাঁরা ক্যারি ফরোয়ার্ড করবেন আসন্ন ওয়ান ডে সিরিজে। ভারত অধিনায়ক তখন সদ্য সিরিজ হারের যন্ত্রণায় ডুবে। কারণ খুঁজছেন। বলছিলেন, “দু’টো রান আউট, আর পরপর কয়েকটা উইকেট বেরিয়ে যাওয়াই আমাদের শেষ করে দিয়ে গেল। কিন্তু এটাও বলব যে, উইকেটটাও ব্যাট করার জন্য খুব সহজ ছিল না। যা মনে হচ্ছিল, দেড়শোর আশেপাশে তুলতে পারলেই এখানে জেতা যেত।”
আর কটক-পরবর্তী অধ্যায়ে ধোনি দু’টো জিনিসে এখন মন দিতে চান। কিছুটা হলেও নিয়মরক্ষার ইডেন টি-টোয়েন্টি। আর অনেক বেশি করে আসন্ন ওয়ান ডে সিরিজ। ধোনি বলেও গেলেন যে, তাঁরা চেষ্টা করবেন ইডেনে শেষ ম্যাচে হালকা ভাবে নামার। “আমাদের ব্যাটিং তো খারাপ করেনি। বেশ কয়েকটা ম্যাচ ধরে আমাদের ব্যাটিং ভালই করছে। আজ হল না। তবে সে সব নিয়ে ভেবে লাভ নেই। ইডেন ম্যাচটা হালকা মেজাজে খেলতে হবে। আর দেখতে হবে ওয়ান ডে সিরিজটা যাতে ভাল করে খেলা যায়। বছরের এই সময়টা ম্যাচ থাকলে দল নির্বাচন করতে সমস্যা হয়। প্রচুর শিশির পড়ে। টস খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। তাই ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করাটা এখন থেকে খুব জরুরি হবে।”
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত ১৭.২ ওভারে ৯২ (রায়না ২২, রোহিত ২২, মর্কেল ৩-১২)
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৭.১ ওভারে ৯৬-৪ (দুমিনি ৩০ নটআউট, অশ্বিন ৩-২৪)