ধর্মশালা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়া দলের অনুশীলন। ছবি: পিটিআই।
ধর্মশালার উইকেটে সাহায্য পাবেন সিমাররা। এমনটাই জানিয়েছেন হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পিচ কিউরেটর সুনীল চৌহান। বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়ে দেন সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচের জন্য তাঁরা বাউন্সি পিচই তৈরি করেছেন। আগামী শনিবার থেকে শুরু হবে এই চার টেস্টের সিরিজের শেষ ম্যাচ। ধর্মশালার মতো আবহাওয়া পেয়ে স্বভাবতই খুশি দুই পক্ষই। ধর্মশালার পিচে ফার্স্ট বোলাররাই সুবিধে পাবে। কিন্ত পুরো সিরিজে বেশি উইকেট এসেছে স্পিনারদের ঘরে। পুণে আর বেঙ্গালুরুর পিচ এতটাই খারাপ ছিল যে একটি ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছিল তিন দিনে আর একটি চার দিনে। রাঁচীর পিচ তার তুলনায় অনেকটাই ভাল ছিল। যে কারণে পুরো পাঁচ দিন খেলা হয়। ধর্মশালায়ও মনে করা হচ্ছে পাঁচদিনই ম্যাচ গড়াবে। যদিও ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের এই পিচ তৈরির পিছনে কোনও ভূমিকাই থাকছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে আয়োজকরা।
আরও খবর: ধর্মশালার পিচ দেখে চিন্তায় ভারত: মিচেল জনসন
পিচ কিউরেটর জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত উইকেট নিয়ে কোনও নির্দেশ তাঁর কাছে আসেনি। ঠিক যে ভাবে সব সময় এখানকার উইকেট তৈরি হয় সে ভাবেই হচ্ছে। এই উইকেটে বাউন্স থাকে। তাঁদের জন্য সুবিধে যাঁরা কাট আর পুল শট খেলতে ভালবাসে। এই পিচেই আন্তর্জাতিক টি২০তে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন রোহিত শর্মা। চৌহানের বিশ্বাস এখানে খেলা পাঁচ দিনই গড়াবে। তিনি বলেন, ‘‘ধর্মশালায় আমরা সব সময় চেষ্টা করেছি এমন উইকেট বানাতে যাতে ম্যাচের ফল হয়। এ বার রঞ্জি ট্রফি ম্যাচও চতুর্থ দিন লা়ঞ্চের সময় গিয়ে শেষ হয়েছে। ট্রেন্ড বলছে পেসাররা এখানে বেশি উইকেট পাবে।এই মাঠে বাংলার অশোক দিন্দা ও মধ্যপ্রদেশের ঈশ্বর পাণ্ড্য র়ঞ্জি ট্রফিতে সব থেকে বেশি উইকেট পেয়েছে।’’
ধর্মশালার পিচের উপরের মাটি প্রতি মরসুমে পরিবর্তন করা হয় বাঁধুনিটা ঠিক রাখার জন্য। চৌহান জানিয়েছেন, সেই বিশেষ ধরনের মাটি নিয়ে আসা হয় লুধিয়ানা থেকে। গত কয়েক বছর ধরে আমরা এটা ব্যবহার করছি। যেটা পিচ ঠিক রাখতে কাজে লাগছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।