ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ। —ফাইল চিত্র।
কুস্তি কর্তা ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে তদন্তের গতি বৃদ্ধি করল দিল্লি পুলিশ। দেশের সেরা কুস্তিগিরদের একাংশ হেনস্থার অভিযোগ এনে এফআইআর করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে। সেই প্রেক্ষিতে পাঁচটি দেশের কুস্তি সংস্থার কাছ থেকে সিসিটিভির ছবি চাইল।
দেশ এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন সময় মহিলা কুস্তিগিরদের সঙ্গে অশালীন আচরণ এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে। বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগটদের অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে ইন্দোনেশিয়া, বুলগেরিয়া, কাজাখস্তান, মঙ্গোলিয়া এবং কিরঘিজস্তানের কুস্তি সংস্থার কাছ থেকে কিছু প্রতিযোগিতার ভিডিয়ো এবং ছবি চাওয়া হয়েছে। চাওয়া হয়েছে প্রতিযোগিতা, অনুশীলনের জায়গা এবং কুস্তিগিরদের থাকার জায়গায় ব্যবহার করা সিসিটিভির ছবিও। তদন্তে সাহায্য চেয়ে এই দেশগুলির কুস্তি সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
১৫ জুনের মধ্যে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়ার কথা দিল্লি পুলিশের। তার আগে এই পাঁচ দেশ থেকে তথ্য-প্রমাণ আসার সম্ভাবনা কম। যদিও এই পাঁচ দেশ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অতিরিক্ত চার্জশিট দেওয়ার সুযোগ থাকবে তদন্তকারীদের কাছে। সোমবার দিল্লির পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরা তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন। উপস্থিত ছিলেন বিশেষ কমিশনার সাগরপ্রীত হুডা-সহ অন্য পুলিশ কর্তারা। বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে আনা কুস্তিগিরদের অভিযোগ পর্যালোচনা করা হয়েছে ওই বৈঠকে।
ব্রিজভূষণ অবশ্য প্রথম থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা হেনস্থার সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অন্য দিকে কুস্তিগিরেরা তাঁর ইস্তফা এবং গ্রেফতারের দাবিতে অনড়। বজরং, সাক্ষীরা দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কেন্দ্রের তরফে যথাযথ তদন্ত এবং পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। যদিও প্রতিবাদী কুস্তিগিরেরা জানিয়েছেন, কেন্দ্রের আশ্বাস মতো ১৫ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। প্রয়োজনে আবার তাঁরা দিল্লিতে ধর্নায় বসবেন।