আরসিএ বনাম বিসিসিআই মামলার রায় হয়তো আজ

বোর্ডের যন্ত্রণা বাড়াতে দেশে ফিরছি পাসপোর্ট ফিরে পেয়ে মোদীর হুঙ্কার

ঘরে ফেরার সবুজ সঙ্কেত পেয়ে গেলেন ললিত মোদী। বুধবার দিল্লি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, মোদীর বাজেয়াপ্ত হওয়া পাসপোর্ট তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। এরপরই দেশের ক্রিকেটমহলে প্রশ্ন উঠে যায়, তা হলে কি এ বার বোর্ড নির্বাচনের যুদ্ধে দেখা যাবে মোদীকে? আদালতের নির্দেশ শোনার পর থেকেই জয়পুরের সোয়াই মান সিংহ স্টেডিয়াম চত্ত্বরে শুরু হয়ে যায় লাড্ডু বিতরণ। আর উড়তে শুরু করে নতুন যুদ্ধের জল্পনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৪ ০৩:২১
Share:

ঘরে ফেরার সবুজ সঙ্কেত পেয়ে গেলেন ললিত মোদী। বুধবার দিল্লি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, মোদীর বাজেয়াপ্ত হওয়া পাসপোর্ট তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। এরপরই দেশের ক্রিকেটমহলে প্রশ্ন উঠে যায়, তা হলে কি এ বার বোর্ড নির্বাচনের যুদ্ধে দেখা যাবে মোদীকে? আদালতের নির্দেশ শোনার পর থেকেই জয়পুরের সোয়াই মান সিংহ স্টেডিয়াম চত্ত্বরে শুরু হয়ে যায় লাড্ডু বিতরণ। আর উড়তে শুরু করে নতুন যুদ্ধের জল্পনা।

Advertisement

মোদী অবশ্য নিজেও এ দিন জানাতে পারলেন না, কবে দেশে ফিরছেন। বুধবার রাজস্থান ক্রিকেট সংস্থার এক কর্তা ফোনে জানালেন, রাজস্থান সরকার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে কথাবার্তা বলে দেশে ফেরার দিনক্ষণ পাকা করবেন মোদী। যখন দেশ ছেড়েছিলেন, বলেছিলেন, অনবরত খুনের হুমকি পাচ্ছেন। এ বার দেশে ফিরে যাতে ফের তেমন পরিস্থিতিতে না পড়তে হয়, সেই ব্যবস্থা করে তবেই ঘরে ফিরতে চান এই ক্রিকেট কর্তা।

লন্ডনে বসে ললিত মোদী এ দিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত একের পর এক প্রতিক্রিয়া দিয়ে যান তাঁর টুইটারে। বোর্ডকে খোঁচা দিয়ে তাঁর বক্তব্য, “মিথ্যের উপর ভর করে লড়া একের পর এক আইনি লড়াই আমাদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। দেশের আইনের উপর পুরো ভরসা আছে আমার। এই লড়াই চলবে।” শ্রীনিবাসনের বোর্ডকে সরাসরি হুমকি দিয়ে তিনি লেখেন, “বিসিসিআই-এর যন্ত্রণার সবচেয়ে বড় কারণ হয়ে উঠতে শীঘ্রই দেশে ফিরছি আমি। ক্রিকেটকে কলুষমুক্ত না করা পর্যন্ত এই লড়াই চালিয়ে যাব।”

Advertisement

তাঁদের সংস্থার প্রেসিডেন্টের এই ‘আচ্ছে দিন’ আসার খবরে যে রীতিমতো উৎফুল্ল আরসিএ কর্তারা, তা ডেপুটি প্রেসিডেন্ট ও মোদীর আইনজীবী দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য সদস্য মেহমুদ আবদির কথাতেই স্পষ্ট। এ দিন তিনি বলেন, “আমরা আদালতের এই রায়ে খুবই খুশি। এ বার যে কোনও ভারতীয় নাগরিকের মতোই গোটা দেশে অবাধে বিচরণ করতে পারবেন ললিত মোদী। ওঁর উপস্থিতিই আমাদের সংস্থার লড়াইয়ে আরও শক্তি জোগাবে।”

বোর্ড ও রাজস্থান ক্রিকেট সংস্থার এই যুদ্ধ কোন দিকে এগোবে, তার ইঙ্গিত অবশ্য বৃহস্পতিবারই পাওয়া যেতে পারে জয়পুরের অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতে এই দু’পক্ষের মামলার শুনানিতে। বোর্ড তাদের নির্বাসনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই যে মামলা করেছিল আরসিএ। গত সোমবারই যে মামলার শুনানিতে বিসিসিআই-এর আইনজীবী আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য চার সপ্তাহের সময় চেয়েও পাননি। বৃহস্পতিবার পর্যন্তই সময় দেওয়া হয়েছে তাঁদের। তাই আবদি আত্মবিশ্বাসের সুরেই বললেন, “দেখবেন, কাল আর একটা ভাল খবর আসবে আমাদের শিবিরে। সত্যমেব জয়তে।”

সত্যিই যদি ভাল খবর আসে এবং আদালতের নির্দেশে বোর্ড আরসিএ-র উপর থেকে নির্বাসন তুলতে বাধ্য হয়, তা হলে মোদী বোর্ডের আসন্ন বার্ষিক সভায় যোগ দিতে পারবেন বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। তাই মুকুল মুদগল কমিটির আইপিএল ফিক্সিং তদন্তের কাজ অসম্পুর্ণ রয়ে যাওয়ায় সুপ্রিম কোর্ট বার্ষিক সভা পিছিয়ে দিতে বললে শ্রীনিবাসনই যে শুধু সুবিধা পেয়ে যাবেন, তা নয়। সমান ভাবে আটঘাট বেঁধে লড়াইয়ে নামার জন্য আরও সময় পেয়ে যাবেন ললিত মোদীও। মুদগল কমিটির তদন্তের গতিপ্রকৃতিও সে দিকেই যাচ্ছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেল কমিটির এক সদস্যের কথায়। তিনি এ দিন জানান, “আমাদের কাজ যতটা হয়েছে, তার রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টের কাছে ৩১ অগস্টের মধ্যে আমরা পেশ করব। এর পর আদালত যদি বোঝে, তদন্তের কাজ আরও বাকি এবং তার জন্য আরও কয়েক দিন সময় প্রয়োজন, তা হলে আমাদের হয়তো আরও সময় দেওয়া হবে। সেটা এখন পুরো নির্ভর করছে আদালতের উপরই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement