কড়া শাস্তির সম্ভাবনা সৌম্যদীপের। —ফাইল ছবি
ম্যাচ গড়াপেটায় দোষী সাব্যস্ত হলেন জাতীয় টেবিল টেনিস দলের কোচ সৌম্যদীপ রায়। টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মণিকা বাত্রার করা মামলার রায়ে জানাল দিল্লি হাইকোর্ট। এর ফলে কড়া শাস্তি হতে পারে তাঁর। টেবিল টেনিস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার এক্সিকিউটিভ কমিটিকেও ছ’মাসের জন্য নির্বাসিত করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, সংস্থার কাজ পরিচালনার জন্য এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ করা হবে প্রশাসক।
গত বছর সেপ্টেম্বরে মণিকা একটি মামলা দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, জাতীয় দলের তৎকালীন কোচ সৌম্যদীপ রায় তাঁকে অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন পর্বের একটি ম্যাচ ছেড়ে দিতে বলেন। ম্যাচটি মণিকা হারলে টোকিও অলিম্পিক্সে সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়ের যোগ্যতা অর্জন করা সহজ হত। উল্লেখ্য, সৌম্যদীপ রায়ের কাছেই প্রশিক্ষণ নিতেন সুতীর্থা।
মণিকা অলিম্পিক্স সিঙ্গলসে সৌম্যদীপের কোচিংয়ে খেলতে অস্বীকার করেন। মণিকার বক্তব্য ছিল, কয়েক মাস আগে ম্যাচ গড়াপেটায় যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে, এমন কারোর কোচিংয়ে খেললে তাঁর মনোসংযোগে সমস্যা হবে। জাতীয় দলের কোচের অধীনে খেলতে অস্বীকার করায় মণিকাকে শোকজ করে টেবিল টেনিস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া। তার পরও অবশ্য মণিকার ব্যক্তিগত কোচ সন্ময় পরাঞ্জাপেকে অলিম্পিক্সে ট্রেনিং করানোর অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও ম্যাচে তাঁর প্রবেশাধিকার ছিল না।
অলিম্পিক্সের পর এশিয়ান টেবিল টেনিস টিম চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ভারতীয় দলে সুযোগ পাননি মণিকা। যদিও সে সময় তিনি ছয় ধাপ উঠে বিশ্ব ক্রমপর্যায়ে ৫০ নম্বরে ছিলেন। যা তাঁর জীবনের সেরা। জি সাথিয়ানের সঙ্গে তাঁর মিক্সড ডাবসল জুটিও বিশ্ব ক্রমপর্যায়ে একাদশ স্থানে ছিল। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন মনিকা। হাইকার্টের রায় তাঁর পক্ষে যাওয়ার ফলে কড়া শাস্তি হতে পারেন সৌম্যদীপের।