ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ। — ফাইল চিত্র।
সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিচারক। দেশের কুস্তিগিরদের একাংশ যৌন হেনস্থা-সহ একাধিক অভিযোগে বিজেপির বিদায়ী সাংসদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন।
আইনি চাপ বৃদ্ধি পেল ব্রিজভূষণের। যৌন হেনস্থার অভিযোগ থেকে তাঁর মুক্তি পাওয়ার পথ আরও কঠিন হল। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে মোট ছ’টি মামলা হয়েছিল। তার মধ্যে পাঁচটিতেই চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বাকি একটি মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ এবং ৩৫৪ডি ধারায় চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে দ্বিতীয় অভিযুক্ত বিনোদ তোমারের বিরুদ্ধে ৫০৬ ধারায় চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২১ মে।
গত বছর ১৫ জুন ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ (মহিলার সম্ভ্রমহানির উদ্দেশ্যে নিগ্রহ বা জবরদস্তি করা), ৩৫৪এ (যৌন হেনস্থা), ৩৫৪ডি (চুপিচুপি নজর রাখা) এবং ৫০৬ (অপরাধমূলক হুমকি) ধারায় চার্জশিট পেশ করেছিল দিল্লি পুলিশ। সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগট, বজরং পুনিয়াদের মতো দেশের প্রথম সারির কুস্তিগিরেরা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। এক নাবালিকা-সহ ছ’জন মহিলা কুস্তিগির পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। দীর্ঘ দিন দিল্লি পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করায় যন্তর মন্তরে ধর্নাও দিয়েছিলেন বজরং, সাক্ষীরা।
ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে আদালত চার্জ গঠনের নির্দেশ দেওয়া স্বস্তি প্রকাশ করেছেন প্রতিবাদী কুস্তিগিরেরা। সাক্ষী বলেছেন, ‘‘এটা আমাদের লড়াইয়ের জয়। ছোট ছোট মেয়েরাও এ বার প্রতিবাদ করার সাহস পাবে। আমরা একটা উদাহরণ তৈরি করতে পেরেছি। আশা করছি অভিযুক্ত উপযুক্ত শাস্তি পাবেন। আমাদের যথেষ্ট কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। আমরা কিন্তু নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করছি না। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করব।’’ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বজরংও।
এর আগে গত বছর ২০ জুলাই শর্তসাপেক্ষে ব্রিজভূষণের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল আদালত। ছ’বারের সাংসদকে শর্ত দেওয়া হয়, তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না এবং অভিযোগকারীদের কোনও রকম হুমকি দিতে পারবেন না।