শহরে ক্রিকেটের মেসি-রোনাল্ডো। রবিবার কলকাতা বিমানবন্দরে বিরাট কোহালি এবং সপরিবার এবি ডে’ভিলিয়ার্স। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
ডে’ভিলিয়ার্স
• টসের আগেই খেলাটা শুরু করে দিতে হবে। টিম ম্যানেজমেন্টের কাজ হল কিউরেটরের সঙ্গে কথা বলে সেই উইকেটটা চাওয়া, যেখানে শনিবারের ম্যাচটা হয়েছিল। অর্থাৎ, যেখানে বল টার্ন করবে, স্পিনাররা সুবিধা পাবে। ডে’ভিলিয়ার্স এই ধরনের পিচে অতটা স্বচ্ছন্দে খেলতে পারে না।
• এবিডি-কে চাপে ফেলতে পারে লেগ স্পিনাররা। গত কয়েকটা ম্যাচে ওর আউট দেখে অন্তত সে রকমই মনে হয়েছে। তাই ও ব্যাট করতে নামলে ওর পিছনে লেগ স্পিনার লাগিয়ে দাও। পীযূষ চাওলার বলে ও চার বার আউট হয়েছে। চাওলা তো থাকবেই। বাঁ হাতি স্পিনার সাকিবকেও কাজে লাগানো যায়।
• এবি কোন বলে কী শট নেবে, তা আগে থেকে বোঝা খুব কঠিন। ও প্রতি বলে আগে থেকে একটা প্ল্যান করে নেয়, কী শট খেলবে। ফিল্ড প্লেসিং অনুযায়ী বোলিং করতে হবে, যাতে ওর একটু মিসটাইমিং বা এজিং হলেই তা কাজে লাগানো যায়। লেগ স্পিনার বল করার সময় স্লিপ, কভারে ফিল্ডার রাখতেই হবে।
কোহালি
• পেনার বিরাটের জন্য শুরুতে মর্কেল-রাসেলই থাকুক। তবে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজাতে হবে বিরাটের জন্য। কভার, পয়েন্ট, দরকার হলে দু’টো স্লিপ। ওকে সিঙ্গলস নিতে দেওয়া চলবে না। বাধ্য করতে হবে বড় শট খেলার জন্য।
• বিরাটকে উইকেটের চার দিকে স্ট্রোক নিতে দেওয়া যাবে না। একটা দিকে খেলাতে হবে ওকে। যেমন কভার অঞ্চল। বিরাটের ব্যাটিংয়ের সময় বোলারদের বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে চলবে না। একটা লাইনে বলটা রাখতে হবে।
• উইকেট না পড়লে পাওয়ার প্লে শেষ হলেই সুনীল নারিনকে আনা হোক। উইকেট টার্নার হলে নারিন কিন্তু ওর বড় টার্নে চাপে ফেলতে পারে বিরাটকে। তবে বিরাট সেট হওয়ার আগেই নারিনকে চাই। একবার সেট হয়ে গেলে বিরাট নিয়ে আর ভেবে লাভ নেই।