এক গিয়ারের ব্যাটসম্যান দিয়ে এই ম্যাচ জেতা যায় না

কেকেআর বনাম সিএসকে ম্যাচটা থেকে কলকাতার কয়েকটা ইতিবাচক দিক পেলাম। যেমন নাইটদের দুর্দান্ত বোলিং। যে বোলিং একবারের জন্যও সুনীল নারিনের অভাব বোধ করতে দেয়নি। যে বোলিং শেষ পাঁচ ওভারে দিল মাত্র ৩৫। বিশেষ করে বলব ব্র্যাড হগের কথা। যে ১৯ নম্বর ওভার বল করতে এসে দিল মাত্র তিন রান, তুলে নিল রবীন্দ্র জাডেজার গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তার পর গৌতম গম্ভীরের ক্যাপ্টেন্সি।

Advertisement

দীপ দাশগুপ্ত

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৪৬
Share:

কেকেআর বনাম সিএসকে ম্যাচটা থেকে কলকাতার কয়েকটা ইতিবাচক দিক পেলাম। যেমন নাইটদের দুর্দান্ত বোলিং। যে বোলিং একবারের জন্যও সুনীল নারিনের অভাব বোধ করতে দেয়নি। যে বোলিং শেষ পাঁচ ওভারে দিল মাত্র ৩৫। বিশেষ করে বলব ব্র্যাড হগের কথা। যে ১৯ নম্বর ওভার বল করতে এসে দিল মাত্র তিন রান, তুলে নিল রবীন্দ্র জাডেজার গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তার পর গৌতম গম্ভীরের ক্যাপ্টেন্সি। ওর বোলারদের অসাধারণ ভাবে ব্যবহার করা। যখন যে বোলিং চেঞ্জটা করা দরকার, তখন সেটা করা। বিশেষ করে যে ম্যাচে ওর বোলিংয়ের প্রধান অস্ত্র গম্ভীরের হাতে নেই। এই হারে নাইট ভক্তদের ভেঙে পড়ার কিছু নেই। এখনও অনেক ম্যাচ বাকি। আর কেকেআর এখনও তিন নম্বরেই।

Advertisement

তবু বলব, এই ম্যাচটা নাইটদেরই জেতা ম্যাচ ছিল। কেন জিততে পারল না কেকেআর, তার কারণগুলো তুলে দিচ্ছি।

এক) রবিন উথাপ্পা আর মণীশ পাণ্ডে যখন সেট হয়ে গিয়েছিল, তখন ওদেরই উচিত ছিল শেষ পর্যন্ত থেকে ম্যাচটা বের করে আনা। চিপকের স্লো উইকেট পরের দিকে যে আরও স্লো হয়ে যাবে, সেটা নিশ্চয়ই জানত ওরা। জানত, সিএসকের দারুণ সব স্পিনার আসবে, পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের পক্ষে যাদের মোকাবিলা করা অতটা সহজ হবে না। জানত, সুরেশ রায়না বল করবেই করবে। এত কিছু জানার পরেও রবিন-মণীশের ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত থাকার কোনও ইচ্ছে দেখলাম না। বরং ঝুঁকি নিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে ওরা আউট হল। যেখানে রানটা এমন কিছুই ছিল না। ওরা দু’জন ব্যাট করছিল যখন, আস্কিং রেট ছিল ছয়ের নীচে। একটু ধীরেসুস্থে খেললে ম্যাচটা অনেক আগেই বেরিয়ে যেত।

Advertisement

দুই) সূর্যকুমার যাদবকে কিন্তু চার নম্বরে নামানো যাবে না। ও হল শেষ পাঁচ ওভারের ব্যাটসম্যান। কারণ সূর্য একটামাত্র গিয়ারে ব্যাট করতে জানে। নামো আর মারো। সেটা দিয়ে যে সব ম্যাচ বের করা যায় না, ভেবে দেখুক কেকেআর।

তিন) শুধু সূর্য নয়, কেকেআরের মিডল অর্ডারে সবাই-ই প্রায় বড় শট মারার ব্যাটসম্যান। যেমন ইউসুফ পাঠান, যেমন আন্দ্রে রাসেল। ওরা সবাই পরের দিকে নেমে ধুমধাড়াক্কা খেলতে অভ্যস্ত। কম টার্গেট তাড়া করতে নেমে স্ট্রাইক রোটেট করে খেলাটা বোধহয় ওদের ডিএনএ-তে নেই। ওদের দেখে মনে হল ওরা কেউ বুঝতে পারছিল না ওই অবস্থায় ঠিক কী করা উচিত। যেখানে বড় শটের ঝুঁকির কোনও দরকার নেই, সেখানে কী ভাবে খেলা উচিত। তাতে রানটা একেবারে আটকে গিয়েছে আর ওরা নিজেরাই নিজেদের উপর চাপ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। জেতা ম্যাচটা ক্রমশ নিজেদের হাত থেকে বেরিয়ে যেতে দিয়েছে। যে চাপে পড়ে রাসেল ও ভাবে রান আউট হল। ওটা কিন্তু ম্যাচের বড় টার্নিং পয়েন্ট। এদের মধ্যে কাউকে পরের দিকে নামিয়ে রায়ান টেন দুশখাতেকে উঠিয়ে আনার কথা ভাবতে পারে গম্ভীর। বিশেষ করে যেখানে তাড়াতাড়ি উইকেট পড়ছে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

চেন্নাই সুপার কিঙ্গস ১৩৪-৬ (দু প্লেসি ২৯ ন.আ, পীযূষ ২-২৬)

কলকাতা নাইট রাইডার্স ১৩২-৯ (উথাপ্পা ৩৯, ব্র্যাভো ৩-২২)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement