উদয়: টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের নতুন অস্ত্র দাভিদ মালান। ফাইল চিত্র
কোভিড-১৯ অতিমারির জেরে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হয়েছে ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টি-টোয়েন্টি। অনেকের কাছেই ফাঁকা মাঠে খেলাটা অস্বস্তিকর হতে পারে। কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নারের কাছে ব্যাপারটা অন্য রকম। তিনি বরং স্বস্তিই পেয়েছেন।
গত কাল সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাত্র দু’রানের জন্য ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার (৪৭ বলে ৫৮) অবশ্য দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন। ম্যাচের পরে এই অস্ট্রেলীয় ওপেনার বলেছেন, ‘‘এই প্রথম এ রকম হল। ইংল্যান্ডে খেলছি অথচ দর্শক বিদ্রুপের মুখে পড়তে হল না আমাকে। ব্যাপারটা বেশ ভালই লাগল।’’
স্টেডিয়াম দর্শকশূন্য থাকায় কি মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়ার দ্বৈরথ হচ্ছে? ওয়ার্নারের জবাব, ‘‘দর্শকদের দিক দিয়ে বলব, না, মনে হচ্ছিল না। একটু অদ্ভুত লাগছিল খেলার সময়।’’ তিনি এও বলেন, ‘‘দর্শকরা অনেক সময়ই আমাদের প্রেরণা হয়ে ওঠে। গ্যালারিতে দেখতে পাই কী ভাবে দর্শকরা আমাদের তাতিয়ে দিচ্ছে।’’
গত কাল প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড তোলে ২০ ওভারে ১৬২। জস বাটলার ২৯ বলে ৪৪ করলেও জয়ের নায়ক দাভিদ মালান। তিন নম্বরে নেমে তিনি করেন ৪৩ বলে ৬৬। মালানের প্রশংসা শোনা গিয়েছে নাসের হুসেনের মতো প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়কের মুখে। মালানের অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতার প্রশংসা করে হুসেন বলেছেন, ‘‘মাঠে নেমে কখনও হতাশ করেনি মালান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা ধরে রাখা কঠিন। কিন্তু ২০ ওভারের ক্রিকেটেও মালান অবিশ্বাস্য রকমের ধারাবাহিক।’’ ১৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একটা সেঞ্চুরি আর সাতটি হাফসেঞ্চুরি আছে মালানের।
জবাবে একটা সময় অস্ট্রেলিয়া ১৪ ওভারে এক উইকেটে ১২৪ থাকা অবস্থায় ২০ ওভারে থেমে যায় ছয় উইকেটে ১৬০ রানে। মার্কাস স্টোয়নিস শেষ ওভারে একটা ছয় মারলেও জেতাতে পারেননি। প্যাট কামিন্স জানিয়েছেন, তাঁরা স্টোয়নিসকে এখন থেকে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মতো ফিনিশার হিসেবে দেখতে চান।