রোহিতকেই এগিয়ে রাখছেন ওয়ার্নার। ছবি— পিটিআই।
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার টেস্টে করা অপরাজিত ৪০০ রানের রেকর্ড যদি কেউ ভাঙতে পারেন, তা হলে তিনি রোহিত শর্মা। অস্ট্রেলিয়ার বাঁ হাতি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের এমনটাই ধারণা।
অ্যাডিলেডে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৩৩৫ রানের ইনিংস খেলেন ওয়ার্নার। সবাই যখন ধরেই নিয়েছিলেন আর ৬৫ রান করলেই লারার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন, ঠিক তখনই ‘কহানি মে টুইস্ট’।
অজি অধিনায়ক টিম পেইন ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে দেন। ক্রিকেটবিশ্ব বিস্মিত হয়ে গেলেও ওয়ার্নার পরে জানান, লারার রেকর্ড ভাঙার কথা তাঁর মাথাতেই ছিল না। চারশো রানের ইনিংস খেলা সহজ নয়। শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা দিতে হয় ব্যাটসম্যানকে। ওয়ার্নার বলছেন, “আমাদের মাঠগুলো অনেক বড়। ফলে বাউন্ডারি মারা সব সময়ে সম্ভব হয় না। শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে চালিয়ে খেলা কঠিন হয়ে পড়ে। শেষের দিকে আমি দু’রান নিচ্ছিলাম। বাউন্ডারি মারতে পারব, এটা আমার মনেও হচ্ছিল না।’’
আরও পড়ুন: অনুষ্কাকে জড়িয়ে ফারুখ ইঞ্জিনিয়ারের বিতর্কিত মন্তব্যে মুখ খুললেন বিরাট, বললেন...
লারার কীর্তির কাছাকাছি পৌঁছেও ক্যারিবিয়ানের রেকর্ড ছোঁয়া হল না ওয়ার্নারের। ৪০০ রানের মাইলস্টোন কার পক্ষে ছোঁয়া সম্ভব? বাঁ হাতি অজি ওপেনার বলছেন, ‘‘একজন কোনও ক্রিকেটারের নাম যদি বলতেই হয়, তা হলে আমি রোহিত শর্মার কথাই বলব। লারার রেকর্ড ভাঙতে পারে একমাত্র রোহিতই।’’
বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ার্নারের পরিচিতি রয়েছে বিশ্বক্রিকেটে। টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে একদিন তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন তা নিয়ে ওয়ার্নারের মনেও সন্দেহ ছিল। কিন্তু বীরেন্দ্র সহবাগই ধারণা বদলে দেন ওয়ার্নারের। তিনি বলেন, “আইপিএলে দিল্লির হয়ে খেলার সময়ে একদিন সহবাগের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। সহবাগ আমাকে বলেছিল, টি টোয়েন্টির থেকেও আমি ভাল টেস্ট ব্যাটসম্যান হতে পারি। আমি তখন জবাব দিয়েছিলাম তুমি নিশ্চয় ভুলে গিয়েছো আমি বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলিনি। বীরু আমাকে সব সময়ে বলত টেস্টে স্লিপ, গালি থাকবে। কভার থাকবে ফাঁকা, মিড উইকেটে ফিল্ডার থাকলেও, মিড অফ এবং মিড অন এগিয়ে থাকবে। তুমি শুরুটা ঝড়ের গতিতে করতে পারবে। তার পরে সারা দিন ধরে খেলে যেতে পারবে।’’
বীরুর সেই কথাগুলো শুনে ওয়ার্নারের মনে হয়েছিল টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাট করা খুব সহজ ব্যাপার। মাঠে নেমে সহজ কাজটাই করেন বাঁ হাতি ওপেনার। বোলারকে শুরু থেকেই আক্রমণ করে লাইন-লেন্থের বারোটা বাজিয়ে দেন। তার পরে আপন মেজাজে ব্যাট করে যান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এবাবেই তো সফল হয়েছেন ওয়ার্নার।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় শাস্ত্রীকে ট্রোল, তীব্র আক্রমণে বিরাট