ছ’বছর পরে গড়াপেটার কথা স্বীকার কানেরিয়ার

ছ’বছর ধরে তাঁর বিরুদ্ধে আনা স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করে এসেছিলেন। এ বার দানিশ কানেরিয়া স্বীকার করে নিলেন, তিনি গড়াপেটার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। পাশাপাশি পাকিস্তানের এই নির্বাসিত লেগস্পিনার ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন দেশবাসীর কাছ থেকে। 

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৩৩
Share:

কবুল: গড়াপেটায় চাঞ্চল্যকর মোড় দানিশের কথায়। টুইটার

ছ’বছর ধরে তাঁর বিরুদ্ধে আনা স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করে এসেছিলেন। এ বার দানিশ কানেরিয়া স্বীকার করে নিলেন, তিনি গড়াপেটার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। পাশাপাশি পাকিস্তানের এই নির্বাসিত লেগস্পিনার ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন দেশবাসীর কাছ থেকে।

Advertisement

একটি টিভি চ্যানেলে প্রথম তিনি এই অভিযোগ স্বীকার করে নেন। যেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমার নাম দানিশ কানেরিয়া। আমি স্বীকার করে নিচ্ছি, ২০১২ সালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড আমার বিরুদ্ধে যে দুটো অভিযোগ এনেছিল, তাতে আমি দোষী।’’ ইংল্যান্ডের কাউন্টি ম্যাচে স্পট ফিক্সিং করার দায়ে ২০১২ সালে আজীবন নির্বাসনের শাস্তি দেওয়া হয় কানেরিয়াকে। যে শাস্তি দিয়েছিল ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডই।

বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থাকে কানেরিয়া বলেছেন, ‘‘ছ’বছর ধরে আমি যন্ত্রণা সহ্য করে এসেছি। কিন্তু আর অভিযোগ অস্বীকার করতে চাই না। আমি স্বীকার করে নিচ্ছি, এক জুয়াড়ির (অনু ভট্ট) সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। যা আমার জীবনের একটা বিশাল ভুল। দেশের ক্রিকেট বোর্ড, দেশের মানুষ যেন আমার অবস্থাটা বুঝতে পেরে আমাকে ক্ষমা করে দেন।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: বেশির ভাগ জুয়াড়ি ভারতীয়, দাবি আইসিসি কর্তার

যে ঘটনা নিয়ে ৩৮ বছর ছুঁই ছুঁই কানেরিয়া এখন বলছেন, ‘‘আমার ভুল হয়ে গিয়েছিল ওই লোকটির (অভিযুক্ত জুয়াড়ি) সংস্পর্শে আসা। ও আমার বাড়ির সদস্যের মতো হয়ে গিয়েছিল। ২০০৫-০৬ সালে আমরা ভারতেও যাই। লোকটা আমাকে প্রায় ব্ল্যাকমেল করা শুরু করেছিল। আমি তরুণ প্রজন্মের ক্রিকেটারদের বলব এই অনু ভট্টের মতো লোকদের থেকে দূরে থাকতে।’’

কানেরিয়া ক্ষমা চাইলেও তাঁর এই স্বীকারোক্তির পরে স্তম্ভিত পাকিস্তান ক্রিকেট মহল। অনেক প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারই মনে করছেন, কানেরিয়া বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। রশিদ লতিফ যেমন বলেছেন, ‘‘আমি ভাবতাম, কানেরিয়া নির্দোষ। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড কর্তাদেরও আমি বুঝিয়েছিলাম, কানেরিয়ার ব্যাপারটা ভাল করে দেখতে। এখন মনে হচ্ছে, ও আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করল।’’

পাকিস্তানের কিংবদন্তি লেগস্পিনার আব্দুল কাদির মনে করেন, দেশের ক্রিকেটের কাছে এটা একটা বড় ধাক্কা। কাদির বলেছেন, ‘‘যত ভুল কারণের জন্য আমাদের দেশের ক্রিকেট প্রচারে আসছে। যেমন, স্পিট ফিক্সিং, ডোপিং‌ বিতর্ক। এটা ভাবতেই খারাপ লাগছে যে, ছ’বছর ধরে এক জন নিজেকে নির্দোষ বলে আসার পরে আজ দোষ

স্বীকার করল।’’

তবে কানেরিয়া পাশে পাচ্ছেন মহসিন খানের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটারকেও। মহসিন বলেছেন, ‘‘আমার কিন্তু মনে হচ্ছে, কানেরিয়া দোষ স্বীকার করে ঠিকই করেছে। তা সেটা ছ’বছর পরেই হোক না কেন। মনে হচ্ছে, বিবেক দংশনে ভুগছিল কানেরিয়া।’’ শুধু এখানেই শেষ নয়। মহসিনের সুপারিশ, ‘‘কানেরিয়ার সঙ্গে এক বার কথা বলা দরকার। ওর শাস্তিটা যদি কমানো যায়, সেটার জন্যও একবার চেষ্টা করা উচিত। ভুললে চলবে না, পাকিস্তান ক্রিকেটে এর চেয়েও খারাপ ঘটনা ঘটেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement