ইয়াস থেকে বাঁচাতে এলাকার দুঃস্থ মানুষদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করলেন মনোজ তিওয়ারি। ছবি - টুইটার
লকডাউনের জন্য স্বাভাবিক জীবন যাপন স্তব্ধ। তবে রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি কিন্তু থেমে নেই। কোভিডের আতঙ্কের জেরে রাজ্যে লকডাউন চলছে। এর মধ্যে আবার ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের আগমন। সারাদিন ধরে গোটা শিবপুর বিধানসভা চষে ফেলছেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক। ইয়াসের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে গড়েছেন হেল্প সেন্টার। সেখানে রয়েছে হেল্প লাইন নম্বর। নিজের টুইটার ছাড়াও আনন্দবাজার ডিজিটালের মাধ্যমে নিজের এলাকার সাধারণ মানুষদের সতর্ক করছেন তিনি।
এলাকার ১০টি ওয়ার্ডের দরিদ্র, দুঃস্থ মানুষদের জন্য কমিউনিটি কিচেনের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ইয়াস নিয়ে খেটে খাওয়া মানুষদের আগাম সতর্ক করছেন মন্ত্রী মশাই। একই সঙ্গে এলাকার অগণিত মানুষের জন্য স্থানীয় স্কুলগুলোতে মাথা গোঁজার বন্দোবস্ত করেছে তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস। আনন্দবাজার ডিজিটালকে মনোজ বলছেন, “এঁদের জন্যই ভোটে জিতে মন্ত্রী হতে পেরেছি। দিদি আমার প্রতি ভরসা রেখেছেন। তাই এমন কঠিন সময় এলাকার সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়ানো আমার দায়িত্ব। আমার বিধানসভার অনেক মানুষ এই কাজে এগিয়ে এসেছেন। সবচেয়ে ভাল ব্যাপার হল রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন এমন মানুষও এগিয়ে এসেছেন।”
১০টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হয়েছে শিবপুর বিধানসভা। এই বিধানসভার মধ্যে পাঁচটি স্কুল। গত বছর আমপানে এই এলাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সেটা মনোজ জানেন। তাই হাওড়া পৌরসভা ও শিবপুর থানার সাহায্যে পাশের বিধানসভার আরও কয়েকটা স্কুলের তালা-চাবি এখন মনোজের ছেলেদের হাতে। সেখানে অস্থায়ী শিবির বানিয়ে চলছে দরিদ্র সেবা। তবে শুধু এলাকার লোকজনকে বাঁচালেই তো চলবে না, তাঁদের ঘর ও সম্পত্তির দেখভালও মনোজের দায়িত্ব। সেটাও সুষ্ঠু ভাবে পালন করছেন তিনি।
মনোজ বলছেন, “গত বছর আমপানে এলাকার বেশ কয়েকটি বড় গাছ পড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জল পর্যন্ত ছিল না। কয়েকটা জায়গার অবস্থা এখনও খারাপ। সেই জায়গার মানুষরা টালির চালে থাকেন। এ বার ইয়াসের দাপটে ক্ষতি যাতে না বাড়ে সেই জন্য হাওড়া পৌরসংস্থা, শিবপুর থানা ও রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। সব জায়গায় লোক নিয়োগ করা আছে। কোথাও সমস্যা হলেই যেন এক মিনিট সময় নষ্ট না করে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে।”
বাইশ গজের যুদ্ধে নতুন বলের বিরুদ্ধে দুই প্রান্ত থেকে আসা জোরে বোলারদের মোকাবিলা করতে হত। এই যুদ্ধে পরিস্থিতি আরও কঠিন। ক্রিকেটে নিজে বাঁচলে দল বাঁচবে। কিন্তু এখানে তো করোনা আতঙ্কের মধ্যে ইয়াসের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান বলছেন, “ক্রিকেটের সঙ্গে এই যুদ্ধকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। কোভিডের সঙ্গে ইয়াসের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে। যদিও সাধারণ মানুষ তো আমাদের উপরেই নির্ভর করে রয়েছেন। অনেক অসহায় মানুষ প্রত্যশা নিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন। তাই এই ম্যাচ আরও কঠিন। তবে জিততে হবেই।”