প্রাক্তন সতীর্থের অজানা তথ্য ফাঁস করলেন মাইকেল ক্লার্ক। ফাইল চিত্র
ক্রিকেট বিশ্বে তিনি সর্ব কালের সেরা বোলারদের মধ্যে অন্যতম। তবে এহেন ক্রিকেটার মাঠ ও মাঠের বাইরে অনেক বার বিতর্কে জড়িয়েছেন। সেই শেন ওয়ার্নের আরও একটি অজানা তথ্য এ বার সামনে আনলেন মাইকেল ক্লার্ক। জানালেন মাঠের বাইরে অনবরত সিগারেট খেতেন এই লেগ স্পিনার। দেশজ ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সব সময় শেন ওয়ার্নের ব্যক্তিগত জীবনের টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়ে একের পর এক করতেন। সেই চাপ কাটানোর জন্যই নাকি মদ্যপান ও ধূমপান করতেন ১৪৫ টেস্টে ৭০৮ উইকেট নেওয়া অস্ট্রেলিয়ার এই স্পিনার। এমনটাই দাবি করলেন ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ক্লার্ক।
অস্ট্রেলিয়ার একটি পডকাস্ট চ্যানেলকে ক্লার্ক বলেন, “মাঠের বাইরে কিংবা সাজঘরে থাকার সময় ওয়ার্নি একটার পর একটা সিগারেট ধরাত। সেই ধোঁয়ার গন্ধে আমরা বিরক্ত হতাম। কিন্তু লোকটার নাম যেহেতু শেন ওয়ার্ন তাই চুপ না থেকে কোনও উপায় ছিল না। কিন্তু একবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠে ঢুকে গেলে ওয়ার্নি যেন অন্য ধরনের মানুষ হয়ে যেত। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাঠে থাকলেও নেশা ওকে চেপে ধরত না। মাঠে থাকা ওয়ার্নিকে দেখে আমরা অবাক হয়ে যেতাম।”
কিন্তু এত বড় মাপের খেলোয়াড় হওয়ার পরেও কেন নেশার কবলে পড়েছিলেন ওয়ার্ন? ক্লার্কের দাবি, “মাঠের বিতর্ক এক রকম। সেটা সামলানোর জন্য দলের অধিনায়ক থেকে শুরু করে সিনিয়র ক্রিকেটার, এমনকি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কর্তারাও সাহায্য করেছে। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে ঝামেলা দেখা দিলে সেটা তো সেই ব্যক্তিকেই সামলাতে হবে। আমার ধারণা ওয়ার্নি ওর জীবনে ঘটে যাওয়া একাধিক সমস্যা ও সংবাদ মাধ্যমের চাপ সামলানোর জন্য নেশা করত।”
তবে ওয়ার্নের জীবনে একাধিক সমস্যা থাকলেও তিনি ছিলেন মানসিক ভাবে শক্তিশালী। তাই বাইশ গজের যুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য ছিলেন এই স্পিনার। ক্লার্ক স্বীকার করলেন, “সবাই ওয়ার্নি হয় না। ওর মতো চাপ সবাই নিতে পারে না। ও আলাদা মানসিকতার ক্রিকেটার। তাই তো ব্যক্তিগত জীবনে একাধিক ঝড় হজম করলেও মাঠে ওয়ার্নি চ্যাম্পিয়ন ছিল।”