Lance Armstrong

ডোপিং করছেন ২১ থেকে, ফাঁস আর্মস্ট্রংয়ের

আর্মস্ট্রংকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আসলে ডোপিংয়ের বিষয়টিকে এক গুচ্ছ আলাদা আলাদা দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা যায়।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২০ ০৩:০৩
Share:

নিন্দিত: ডোপিংয়ে ধরা পড়ার পরে সব খেতাব হারান আর্মস্ট্রং। ফাইল চিত্র

কিংবদন্তি হয়েও তিনি নিন্দিত। নিন্দিত ডোপিংয়ের জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের সাইক্লিস্ট ল্যান্স আর্মস্ট্রং স্বীকার করলেন, ২১ বছর বয়স থেকেই তিনি ডোপ করছেন। একটি তথ্যচিত্রে তাঁকে ঠিক এই প্রশ্নটাই করা হয়। বলা হয়, কত বছর বয়সে তিনি প্রথম ডোপ করেন। অকপট আর্মস্ট্রংয়ের জবাব, ‘‘একেবারে সরাসরি এই প্রশ্ন! সম্ভবত ২১ বছর বয়সে।’’ আর্মস্ট্রংকে নিয়ে এই তথ্যচিত্র অবশ্য এখনও মুক্তি পায়নি। বাজারে এসেছে তার ৯০ সেকেন্ডের ট্রেলার। দু’টি ভাগে সম্প্রচারিত হতে যাওয়া এই তথ্যচিত্রের নাম ‘ল্যান্স’। যা দেখা যাবে এই মাসের ২৪ ও ৩১ তারিখ।

Advertisement

ট্রেলারে ৪৮ বছর বয়সি আর্মস্ট্রংয়ের সঙ্গে দেখা গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পোস্টাল র্সাভিসে তাঁর দুই সতীর্থ টাইলর হ্যামিল্টন ও জর্জ হিনক্যাপিকেও। ডোপিং করে কী ভাবে পারফরম্যান্সে উন্নতি ঘটায় তা নিয়ে কথা বলেছেন তাঁরা। এবং আর্মস্ট্রংকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আসলে ডোপিংয়ের বিষয়টিকে এক গুচ্ছ আলাদা আলাদা দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা যায়।’’ যোগ করেছেন, ‘‘সব চেয়ে সহজতম ব্যাখ্যা হচ্ছে ডোপিংয়ের দ্বারা নিয়ম ভাঙা হয়। কিন্তু আমরা কি অল্প বয়সে ভিটামিনে ও অন্য আরও কিছুর ইঞ্জেকশন নিই না? অবশ্যই নিই। কিন্তু সেগুলি বেআইনি নয়। আমি সব সময়ই জানতাম যে, আমার দেহে কী প্রবেশ করানো হচ্ছে। আমি সব কিছু জেনেই করেছি। সব সিদ্ধান্ত নিজেই নিয়েছি।’’

আর্মস্ট্রংয়ের আরও মন্তব্য, ‘‘কেউ আমাকে বলেনি যে কী ইঞ্জেকশন দিচ্ছে সেটা জানতে চেয়ো না। সেটা বললে কখনও কোনও ভাবেই আমি তা নিতাম না। কিন্তু আমি সব কিছু আগে ভাল করে জেনেছি। যা দেওয়া হবে তা নিয়ে রীতিমতো পড়াশুনো করেছি। এবং তার পরে আমি তা নিজের শরীরে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ একটা সময় আর্মস্ট্রং পেশাদারি সাইক্লিংবিশ্ব একাই শাসন করেছেন। বিশেষ করে এই শতাব্দীর গোড়ার দিকে। ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত তিনি টানা সাত বার ‘তুর দে ফ্রান্স’-এ চ্যাম্পিয়ন হন। ডোপিংয়ে ধরা পড়ার পরে অবশ্য তাঁর সব খেতাব কেড়ে নেওয়া হয়। ২০১২-তে তাঁকে খেলাধুলো থেকে সারা জীবনের মতো নির্বাসিত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ডোপিং বিরোধী সংস্থা তদন্তের পরে নিশ্চিত হয়েছিল যে, আর্মস্ট্রংয়ের নেতৃত্বেই সে দেশের পোস্টাল সার্ভিস দলের মধ্যে ডোপিং করা হত। ২০১৩-তে আর্মস্ট্রং নিজেই প্রকাশ্যে সে কথা স্বীকার করেন। তখন ওপ্রা উইনফ্রে-র সঙ্গে টিভিতে একটি ‘চ্যাট শো’-এ তিনি বলেছিলেন যে ১৯৯৬ থেকে ডোপিং করছেন। কিন্তু তথ্যচিত্রে আর্মস্ট্রং যা বললেন তাতে ১৯৯৩-এ অসলোয় বিশ্ব রোড রেস জয়ের নজিরের পাশেও প্রশ্নচিহ্ন বসে গেল। তার ঠিক এক বছর আগে তিনি পেশাদার হন।

Advertisement

আরও পড়ুন: বিকল্পটাও ভেবে রাখা হোক, মত গম্ভীরের

আরও পড়ুন: ইপিএলে নতুন করে ছয় করোনা আক্রান্তের হদিশ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement