তারকা: ধোনি আবার সেই হলুদ জার্সিতে, বিরাট আরসিবি-তেই।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চেন্নাই সুপার কিংগসের টুইটার হ্যান্ডলে এমএস ধোনির একটি ভিডিও পোস্ট করে তাতে ক্যাপশন লেখা হয়, ‘থাকিডা, থাকিডা, থাকিডা থালা এমএস ধোনি!’ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে চুক্তিপত্রে সই করছেন ভারত অধিনায়ক। এটা প্রতীকি হতে পারে, তবে হলুদ জার্সিতে তাঁর আইপিএলে ফেরার ইঙ্গিত স্পষ্ট।
এমনই হতে চলেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বোর্ড ঘোষনা করে দিল, প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে এ বারের আইপিএলে দলে রেখে দিল চেন্নাই। তার পর থেকেই চেন্নাইয়ের ক্রিকেটপ্রেমীদের খুশির বাঁধ ভাঙার উপক্রম। সোশ্যাল মিডিয়াতে যার প্রতিফলন স্পষ্ট।
যাকে তাঁর দ্বিতীয় ঘর বলেন ধোনি, সেই চেন্নাইয়ের হয়ে দু’বছর পরে আইপিএলে নামবেন তিনি। মাঝখানে দু’বছর পুণের ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলার পরে ফের সেই হলুদ জার্সিতে। সঙ্গে রবীন্দ্র জাডেজা ও সুরেশ রায়নাও। এই দু’জনকেও রিটেনশন তালিকায় রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সিএসকে। যা নিয়ে তাদের হাই পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট লক্ষ্মী নারায়ণ মন্তব্য করেন, ‘‘ঘরের ফেরার জন্য স্বাগত ‘থালা’ ধোনি, ‘চিন্না থালা’ সুরেশ রায়না ও ‘সিঙ্গাকুট্টি’ রবীন্দ্র জাডেজা। এর চেয়ে ভাল ভাবে বছর শুরু করাই যেত না।’’
চেন্নাই তাদের সেরা তিন দেশী ক্রিকেটারকে দলে রেখে দিলেও কলকাতা নাইট রাইডার্স দুই বিদেশি সুনীল নারাইন ও আন্দ্রে রাসেলকে আগেভাগে সুরক্ষিত করল। যেমন খবর ছিল, গৌতম গম্ভীরকে প্রথম তালিকায় রাখা হবে না, সেটাই হল শেষ পর্যন্ত। দুই ক্যারিবিয়ানকে রেখে দেওয়ায় অবশ্য নিলামে ক্রিকেটার নেওয়ার জন্য মোটা অঙ্ক রেখে দিতে পারল কেকেআর। চাইলে ‘রাইট টু ম্যাচ’ পদ্ধতিতে গম্ভীরকে তারা সবার আগে তুলে নিতে পারে আগামী ২৭ তারিখের নিলামে।
এই কৌশল নিয়েই এ বার একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি রিটেনশন তালিকায় বেশি বাহুল্য দেখায়নি। যেমন রাজস্থান রয়্যালস শুধু স্টিভ স্মিথকে ধরে রাখল। কিংগস ইলেভেন পঞ্জাব অক্ষর পটেলকে রেখে নিলামের জন্য সাড়ে ৬৭ কোটি টাকা বাঁচিয়ে রাখল। যাতে ভাল ক্রিকেটার তোলার রাস্তা খোলা রাখতে পারে তারা। শুধু ডেভিড ওয়ার্নার ও ভুবনেশ্বর কুমারকে রেখে দেওয়ার পরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মেন্টর ভিভিএস লক্ষ্মণ বলেছেন, ‘‘শুধু ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারদের আমরা ধরে রেখেছি। যারা কার্যকরি হয়ে উঠতে পারে। এটাই জরুরি ছিল।’’ কেকেআর-ও সেই পথেই হেঁটেছে। নারাইন ও রাসেল দু’জনেই ব্যাটে, বলে সমান ভাবে সফল হতে পারেন। তাই এঁদের আগে রেখে দেওয়া হল।
তবে বিরাট কোহালি, রোহিত শর্মাদের নিয়ে কোনও ঝুঁকি নেয়নি যথাক্রমে আরসিবি ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। যশপ্রীত বুমরা, হার্দিক পাণ্ড্যদের মতো টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞদেরও ছাড়তে নারাজ মুম্বই। মুম্বই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রধান কর্তা আকাশ অম্বানী বলছেন, ‘‘মুম্বই মানেই রোহিত। আর হার্দিক-বুমরা আমাদের কাছে স্পেশ্যাল। ওরাই দলের স্তম্ভ।’’ চেন্নাই, মুম্বই ছাড়া বেঙ্গালুরু, দিল্লিও তাদের রিটেনশন তালিকা ভর্তি করেই জমা দিয়েছে।
ধরে রাখা ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে দামী বিরাটের (১৭ কোটি টাকা) সঙ্গে আরসিবি রেখে দিল এবি ডিভিলিয়ার্স ও সরফরাজ খানকে।