এ বারেও ব্যালন ডি’ওর পাওয়ার আশায় রোনাল্ডো। ফাইল চিত্র
লিয়োনেল মেসি ও তাঁর ব্যালন ডি’ওর খেতাবের সংখ্যা সমান। দু’জনেই পাঁচ বার করে পেয়েছেন এই সম্মান। এ বার সেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো তাঁর ষষ্ঠ ব্যালন ডি’ওর পেতে পারেন বলে অনুমান ইটালির ফুটবল বিশেষজ্ঞদের।
এই আবহেই লিয়োনেল মেসির সঙ্গে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে মুখ খুললেন সি আর সেভেন। বলে দিলেন, মেসির সঙ্গে তাঁর স্বাস্থ্যকর একটা লড়াই ছিলই। সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন, লা লিগায় তিনি ও মেসি স্পেনের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলে খেলার সময়ের এই দ্বৈরথটা বেশি উপভোগ করেছেন।
২০১৮ সালে রোনাল্ডো তাঁর পুরনো ক্লাব ছেড়ে জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার আগে বার্সেলোনা বনাম রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচে দুই দলের দুই মুখ ছিলেন মেসি ও রোনাল্ডো। নিজের পাঁচটি ব্যালন ডি’ওর খেতাবের মধ্যে রোনাল্ডো চারটিই পেয়েছেন ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে। রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি গায়ে। যে দীর্ঘ সময়ে মেসি-রোনাল্ডো দ্বৈরথই ছিল লা লিগার প্রধান আকর্ষণ।
ফরাসি ফুটবল পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোনাল্ডো বলেছেন, ‘‘অনেকেই বলেন, আমরা একে অপরকে ছাপিয়ে যেতে চাইতাম। স্পেনে একই লিগের দুই ক্লাবে খেলার সুবাদে আমাদের ভাল খেলা তুলে ধরার তাগিদ বেশি থাকত। তবে এটা ঠিক যে, মেসির উপস্থিতি ও প্রভাব আমি বেশি টের পেয়েছিলাম ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পরে। এটা একদম স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা। আমরা ছিলাম স্পেনের দুই বিখ্যাত ক্লাবের প্রতীক। শুনলাম, সম্প্রতি মেসিও এক সাক্ষাৎকারে বলেছে, লা লিগায় এখন আমার অভাব অনুভব করে ও।’’
ডিসেম্বরে এ বারের ব্যালন ডি’ওর খেতাবের দৌড়ে ফেভারিট ভার্জিল ফান ডাইক। দৌড়ে রয়েছেন মেসিও। কিন্তু ফরাসি ফুটবল পত্রিকাকে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রোনাল্ডো, তাতে স্পষ্ট তিনি নিজেকেও এই পুরস্কারের দাবিদার ভাবছেন। রোনাল্ডোর কথায়, ‘‘ওরা যদি বলে আমিই সেরা ফুটবলার ছিলাম, তা হলে ভালই লাগবে। আর এই কথাগুলো এখন শুনতেই দারুণ লাগবে। যখন আমার ফুটবলার জীবন শেষ হয়ে যাবে, তখন শুনলে আমার কোনও হেলদোল হবে না। কারণ, তখন আমি সব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে নেব।’’ যোগ করেন, ‘‘বুদ্ধিদীপ্ত পারফরম্যান্স করাই টিকে থাকার মূলমন্ত্র। বয়স বাড়লেও তাই আমার লক্ষ্য ফিটনেস ও তারুণ্য ধরে রেখে সেরাটা দেওয়া।’’ সঙ্গে সি আর সেভেন বলেছেন, ‘‘একটা ফুটবলারের নাম বলুন যে আমার মতো এই বয়সে জুভেন্টাসের মতো ক্লাবে খেলে নিজের সেরা ছন্দ বজায় রেখেছে?’’
রোনাল্ডোর এই কথা যে অমূলক নয়, তা প্রকাশ পেয়েছে চলতি মরসুমে রিয়ালে খেলতে আসা এডেন অ্যাজ়ারের কথায়। যিনি রোনাল্ডোর সেই সাত নম্বর জার্সি গায়েই এ বার খেলছেন রিয়াল মাদ্রিদে। চেলসির এই প্রাক্তন ফুটবলার বলেছেন, ‘‘ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পরে ঐতিহাসিক এই জার্সি গায়ে খেলাটা খুবই কঠিন একটা দায়িত্ব।’’