অস্বস্তি: ইনফান্তিনোর বিরুদ্ধে গোপন লেনদেনের অভিযোগ। ফাইল চিত্র
তদন্তের মুখে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও দায়ের করা হল। সন্দেহ করা হচ্ছে, সুইস অ্যাটর্নি জেনারেল মাইকেল লবারের সঙ্গে ইনফান্তিনোর অবৈধ লেনদেন হয়ে থাকতে পারে। মামলায় লবারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এই খবর দিয়েছেন, সুইৎজ়ারল্যান্ড প্রশাসনের আধিকারিকরা। গত সপ্তাহেই লবার পদত্যাগ করেছিলেন! আদালত একটি রায়ে জানায়, এই অ্যাটর্নি জেনারেল নাকি ইনফান্তিনোর সঙ্গে সভা করার খবর বেমালুম গোপন করেছিলেন ফিফায় দুর্নীতির তদন্ত করতে আসা অফিসারদের কাছে। এমনকি তদন্তের সময় অফিসারদের তিনি মিথ্যেও বলেছিলেন বলে রায়ে মন্তব্য করা হয়। এবং তার ঠিক পরেই লবার পদত্যাগ করেন।
লবার ও ইনফান্তিনো— দু’জনই অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে ফিফা প্রেসিডেন্ট কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে সভা করার খবর মিথ্যে বলেননি। তাঁর কথা, দেখা করা বা আলোচনার মধ্যে দোষের কিছু থাকতে পারে না। এ দিকে ৩১ অগস্টই অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে সম্ভবত লবারের শেষ দিন। সুইস প্রশাসন অভিযোগের সত্যতা পরীক্ষার দায়িত্ব দিয়েছে বিশেষ প্রসিকিউটর স্টেফান কেলারকে। তিনিই সব খতিয়ে দেখে ইঙ্গিত দিয়েছেন, ফিফা প্রেসিডেন্ট এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের মধ্যে অবৈধ লেনদেন হয়ে থাকতে পারে। আর সুইস প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা (ইনফান্তিনো ও অ্যাটর্নি জেনারেল লবার) সরকারি অফিসের অপব্যবহার করে থাকতে পারেন। সেই সঙ্গে সরকারি গোপনীয়তার শর্ত ভাঙার অভিযোগও এসেছে। এমনকি তাঁদের পক্ষে অপরাধীদের সাহায্য করাও অসম্ভব নয়।’’