ভারতীয় ওপেনার পৃথ্বী শ-এর ডোপ কাণ্ডে শাস্তি পাওয়া চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। তবে এই প্রথম নয়, ক্রিকেটে এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে বহু বার। ড্রাগ এবং ডোপ কাণ্ডে জড়িয়েছে অনেক কিংবদন্তির নামও। রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটাররাও। তাঁরা কারা? দেখে নেওয়া যাক।
শেন ওয়ার্ন- তাঁর হাতের জাদুতে সম্মোহিত ছিল গোটা বিশ্ব। কিন্তু তাঁর নাম জড়িয়েছে বহু নিয়ম বিরোধী কাজে। যার মধ্যে ২০০৩ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ডোপ কাণ্ডে ধরা পড়ে বিপদে ফেলেন ব্যাগি গ্রিনদের। যদিও ফিরে আসেন এক বছর বাদেই। আবার ক্রিকেটদর্শক মুগ্ধ হয় তাঁর স্পিনের জাদুতে।
শোয়েব আখতার- পাক-পেস বাহিনীর এক ভয়ঙ্কর সৈন্য। যার দাপটে বুক কাঁপত বহু ব্যাটসম্যানের। কিন্তু চোটপ্রবণ এই ক্রিকেটারের বিভিন্ন ওষুধের মধ্যে ছিল নিষিদ্ধ ওষুধও। যার জন্যে তাঁকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে বাদ পড়তে হয় ২০০৬ সালে।
ইয়ান বোথাম- কিংবদন্তি ইংরেজ ক্রিকেটার। ১৯৮৬ সালে ক্যারিবিয়ান সফরে জঘন্য ভাবে হারার পর ইংল্যান্ড আরও বিপদে পড়ে ডোপ কাণ্ডে বোথামকে হারিয়ে। দু’মাসের বেশি দল থেকে বাদ পড়ার সময়কালে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হয় ইংল্যান্ডকে। যদিও বোথাম দলে ফিরেই ভেঙে দেন ডেনিস লিলির সর্বাধিক উইকেট সংগ্রহের রেকর্ড।
স্টিফেন ফ্লেমিং- ‘জেন্টলম্যানস গেমের’ অন্যতম জেন্টলম্যান তিনি। কিন্তু নাম জড়িয়েছে তাঁরও। তবে ডোপ নয়, তিনি ধরা পড়েছিলেন আরও তিন কিউয়ি ক্রিকেটারের সঙ্গে ড্রাগ নেওয়ার সময়। তিন মাসের জন্য ক্রিকেট থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। দিতে হয় জরিমানাও।
উপুল থরাঙ্গা- নাম জড়িয়েছে শ্রীলঙ্কার এই ব্যাটসম্যানেরও। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ডোপ পরীক্ষায় ধরা পরেন থরাঙ্গা। যদিও তাঁর দাবি ছিল ভেষজ ওষুধ নেন তিনি। নিষিদ্ধ ওষুধ নেওয়ার অপরাধে তিন মাস ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হয় তাঁকে।
মহম্মদ আসিফ- স্পট ফিক্সিং এবং ডোপ কাণ্ডে বহু বার নাম জড়িয়েছে পাক ক্রিকেটারদের। সেই তালিকায় রয়েছেন মহম্মদ আসিফও। মাদক নেওয়ার জন্য পাক মিডিয়াম পেসার ২০০৬ সালে একবার সতর্কবার্তা পেলেও ২০০৮ সালে ড্রাগ সহ দ্বিতীয় বার ধরা পড়েন দুবাই বিমান বন্দরে। এবং তারপরেই আইপিএল কর্তৃপক্ষ জানায় যে তাঁর শরীরে নিষিদ্ধ মাদক পাওয়া গিয়েছে।
আব্দুর রহমান- ডোপ কাণ্ডে নাম জড়ায় পাক স্পিনারদেরও। যার মধ্যে প্রথম নাম আব্দুর রহমান। ২০১২ সালে টেস্টে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর কাউন্টি ক্রিকেটে ধরা পড়েন এই স্পিনার। তিন মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয় তাঁকে।
রাজা হাসান- এই পাক স্পিনারের আবির্ভাব ঘটে ২০১২ সালে। কিন্তু ২০১৪ সালেই ধরা পড়েন ডোপ কাণ্ডে। দু’বছরের জন্য বহিষ্কার হলেও আর দলে ফেরা হয়নি হাসানের।
অসিম বাট- ডোপ কাণ্ডে জড়িয়েছে স্কটিশ ক্রিকেটারের নামও। একাধিকবার ড্রাগ কাণ্ডে ধরা পড়ে ২০০৫ সালে এক বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। জন্ম পাকিস্তানে হলেও তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন স্কটল্যান্ডের হয়ে। ২০০৯ সালে মৃত্যু হয় তাঁর।বাটের মৃত্যু নিয়েও রয়েছে বিস্তর বিতর্ক।
প্রদীপ সাংওয়ান- বাঁ-হাতি এই ভারতীয় বোলার ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্য ছিলেন। আইপিএলে খেলেছেন নাইট রাইডার্সের হয়েও। ২০১৩ সালে ডোপ কাণ্ডে নাম জড়ায় তাঁর। ১৮ মাসের জন্য ক্রিকেট থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে।