ফুরফুরে: প্রথম ওয়ান ডে জিতে আড্ডা রোহিত-চহালের। বিসিসিআই
বেশ কিছু দিন ভারতীয় দলের বাইরে ছিলেন তিনি। সে সময় নিজেকে ধারালো করেছেন যুজ়বেন্দ্র চহাল। নিজেকে কী ভাবে তৈরি করেছেন তিনি? অধিনায়ক রোহিত শর্মার সঙ্গে কথোপকথনে সে কথা ফাঁস করেছেন এই লেগস্পিনার।
দু’টো ব্যাপারের উপরে জোর দিয়েছিলেন চহাল। এক, সাইড আর্ম বোলিং করার উপরে। দুই, গুগলিকে আরও মারাত্মক করা। ম্যাচে আরও বেশি করে গুগলি দেওয়ার পরামর্শটা রোহিতের থেকেই পেয়েছিলেন চহাল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতিয়ে বিসিসিআই টিভিতে অধিনায়ক রোহিতকে এক সাক্ষাৎকারে চহাল বলেছেন, ‘‘বল করার সময় আমি কোণগুলোর পরিবর্তন করেছি। বেশির ভাগ বোলারই সাইড আর্ম অ্যাকশনে (বল ছাড়ার সময় কাঁধটা ব্যাটারের দিকে থাকে) বল করে। আমি সে রকম বোলিং শুরু করেছি। যে সময়টা দলের বাইরে ছিলাম, তখন ওই ভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেছি।’’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে ক্রিকেটে একশো উইকেটের মালিক হয়েছেন চহাল। যা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘খুব ভাল একটা অনুভূতি হচ্ছে। আমার ক্রিকেট জীবন ওঠা-পড়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। একশো উইকেট পাওয়া আমার কাছে খুব বড় একটা মুহূর্ত। ভাবিনি এত তাড়াতাড়ি এই মাইলফলকে পৌঁছতে পারব।’’ চহাল ৬০টি ওয়ান ডে খেলে একশো উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছন।
চহাল জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিনি গুগলিটা ঠিক মতো কাজে লাগাতে পারেননি। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সেই অস্ত্র তূণ থেকে বার করে আনতে পেরেছেন। এ ক্ষেত্রে রোহিতের পরামর্শ কাজে এসেছে তাঁর। আরও বেশি করে গুগলি করার ব্যাপারে রোহিতের থেকে পরামর্শ পেয়েছিলেন চহাল। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, গুগলির গুরুত্ব বুঝতে সাহায্য করেছেন রোহিত। অধিনায়ককে চহাল বলেছেন, ‘‘তুমি ম্যাচের আগে আমাকে ব্যাপারটা বলেছিলে। আমার নিজেরও মনে হচ্ছিল, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আমি গুগলিটাকে ঠিকমতো কাজে লাগাইনি। যথেষ্ট গুগলি করছিলাম না।’’ চহাল এও বলেছেন, ‘‘তোমার কথাটা আমার মাথায় ছিল। এক জন আগ্রাসী ব্যাটার যদি দেখে বলটা ব্যাটের কাছাকাছি পড়েছে, তা হলে সে বড় শট খেলতে যায়। সেক্ষেত্রে আমার হাতে কিন্তু এই অস্ত্রটা আছে। লেগস্পিনারের তূণে গুগলি সব সময় একটা বড় অস্ত্র। জানি, যত বেশি গুগলি করব, তত সাফল্য পাব।’’
প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে কায়রন পোলার্ডকে ও রকম একটি গুগলিতেই ফিরিয়ে দিয়েছেন চহাল। পোলার্ডকে প্রথম বলটাই গুগলি করেছিলেন তিনি। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক বড় শট খেলতে গিয়েছিলেন। বল তাঁর ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে ভিতরে এসে স্টাম্প ভেঙে দেয়। এই উইকেটের নেপথ্যে অবশ্য বিরাট কোহলিরও অবদান আছে।
আগের বলটাতেই লেগব্রেকে নিকোলাস পুরানকে আউট করেছিলেন চহাল। পোলার্ডকে যখন বল করতে যাচ্ছেন, তখন কোহলি বলে ওঠেন, ‘‘চিন্তা করিস না, উল্টোটা কর।’’ লেগস্পিনের উল্টো অর্থাৎ গুগলি। কোহলির এই পরামর্শ শোনা যায় স্টাম্প মাইক্রোফোনে। যে ঘটনার ভিডিয়ো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে গণমাধ্যমে। ইনিংসে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন চহাল।
সামনেই আইপিএল নিলাম। যে প্রসঙ্গ তুলে রোহিত বলেন, ‘‘নিলাম আসছে। শুভেচ্ছা রইল।’’ আরসিবি এ বার ছেড়ে দিয়েছে চহালকে।