যুবরাজ সিংহ। —ফাইল চিত্র।
যুবরাজ সিংহের মা শবনম সিংহকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন এক মহিলা। গুরুগ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ। যুবরাজের ভাই অসুস্থ। তাঁর দেখভালের জন্য এক জন মহিলাকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তিনিই শবনম এবং তাঁর পরিবারকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। চুপ করে থাকতে টাকা দাবি করেন।
হেমা কৌশিক ওরফে ডিম্পি নামের ওই মহিলাকে ২০২২ সালে যুবরাজের বাড়িতে আনা হয়েছিল। বেশ কয়েক বছর ধরেই মানসিক সমস্যায় ভুগছেন যুবরাজের ভাই জরোয়ার সিংহ। তাঁর দেখভালের জন্যই ডিম্পিকে আনা হয়েছিল। শবনম জানিয়েছেন যে, ২০ দিনের মধ্যেই ডিম্পিকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ডিম্পির খারাপ ব্যবহারের কারণেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু এই বছর মে মাস থেকে যুবরাজের মাকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেন ডিম্পি। ভারতীয় ক্রিকেটারের পরিবারকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন তিনি। চুপ করে থাকার জন্য ৪০ লক্ষ টাকা দাবি করেন ডিম্পি। শবনম বলেন, “আমি বলেছিলাম যে এই টাকা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। ঠিক হয়েছিল পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে ডিম্পিকে। সোমবার সেই টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে সেটা মঙ্গলবার দেওয়ার কথা বলি এবং আমি পুলিশের কাছে যাই।”
পুলিশ পুরো বিষয়টা জানার পরেই ফাঁদ পাতে। ডিম্পি ওই পাঁচ লক্ষ টাকা নিতে এলে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (পূর্ব) নিতিশ আগরওয়াল বলেন, “হেমা কৌশিক ওরফে ডিম্পি নামের এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি দক্ষিণ দিল্লির মালব্য গ্রামের নীতেশ কৌশিকের স্ত্রী। ডিম্পির থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁকে।”
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালে ভারতের এক দিনের বিশ্বকাপ জয়ের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন যুবরাজ। দেশের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসাবে দেখা হয় তাঁকে। ক্যানসারজয়ী যুবরাজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। তবে এই বছর আমেরিকায় টি-টেন লিগে তাঁকে খেলতে দেখা যেতে পারে। নিউ জার্সি লেজেন্ডসের হয়ে খেলার কথা যুবরাজের।