কী ভাবে নেতৃত্ব দেওয়া শিখেছেন, তা জানিয়েছেন কোহলি। ছবি: আইপিএল।
ভারতীয় ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দেওয়া সহজ নয়। সব সময় প্রত্যাশার চাপ সামলে চলতে হয়। ব্যর্থ হলেই শুরু হয় সমালোচনা। কঠিন সেই দায়িত্ব দীর্ঘ দিন সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছেন বিরাট কোহলি। তাঁর মতে, নেতৃত্বের প্রথম এবং প্রধান শর্ত দায় এবং দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেওয়া। সকলকে খুশি করে নেতৃত্ব দেওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন এক সাক্ষাৎকারে।
২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর ২০১৪ সালে ভারতের সাদা বলের ক্রিকেটের অধিনায়ক হয়েছিলেন কোহলি।
আইপিএলের মাঝে নেতৃত্ব নিয়ে কথা বলেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবনের প্রথম কয়েক বছর মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে খেলেছেন কোহলি। তা নিয়ে বলেছেন, ‘‘নেতৃত্ব কী ভাবে দিতে হয়, তা অনেকের কাছে শিখেছি। সব থেকে বেশি শিখেছি ধোনির কাছ থেকে। একটা বড় সময় ধোনির নেতৃত্বে খেলেছি আমি। নেতৃত্ব হল প্রথমত নিজের দায়িত্ব নিতে সক্ষম হওয়া। আপনি নিজের সুস্থতা এবং পরিসরের দায়িত্ব নিতে না পারলে অন্যের দায়িত্ব কী করে নেবেন? আমি খুব মন দিয়ে অনুসরণ করতাম। এটা আমার স্বাভাবিক প্রবণতা ছিল।’’
নেতৃত্ব দেওয়া মানে সতীর্থদের আস্থা অর্জন। সেই কাজ কতটা কঠিন? কোহলি বলেছেন, ‘‘দায়িত্ব নিতে পারলে তবেই অন্যদের কিছু করার অনুরোধ করা যায়। তাদের বলা যায়, আমার উপর বিশ্বাস রাখতে পার। মনে হচ্ছে ভাল হবে। কোনও বই পড়ে আমি শিখিনি। ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েছি। ব্যর্থ হলেও আবার চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকিনি। নিজের মন থেকে নিরাপত্তাহীনতা দূর করতে পারলে এক জন মানুষ প্রথমে নিজের নেতা হয়ে উঠতে পারে। এটা গুরুত্বপূর্ণ।’’ নিজের উপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস না থাকলে নেতৃত্ব দেওয়া যায় না বলে মনে করেন কোহলি।
কোহলির বক্তব্য, সকলকে খুশি করে নেতৃত্ব দেওয়া যায় না। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘ধোনি এবং অন্যদের কাছ থেকে শিখেছি, সবাইকে সব সময় খুশি করে চলা সম্ভব নয়। এটাই আসল। অনেক ক্ষেত্রে সবাই আপনার কথার মানে সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারবে না। তারা চেষ্টা করবে নিজেদের স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা বা বিষয়গুলো খুঁজতে। সেগুলো উপেক্ষা করতে হয়। কারণ লক্ষ্যকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হয়।’’
এক দিনের এবং টি-টোয়েন্টির পর টেস্ট ক্রিকেটেও ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন কোহলি। টেস্টে ভারতের সফলতম অধিনায়ক হয়েছেন ধোনির রেকর্ড ভেঙে। ২০২২ সালে জাতীয় দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেন কোহলি।