ঋদ্ধির পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে নাম জানাতে বলেছিলেন প্রজ্ঞান ওঝা এবং হরভজন সিংহ। রবি শাস্ত্রী ভারতীয় বোর্ডের কাছে আবেদন করেন সেই সাংবাদিককে খুঁজে বার করার জন্য। কিন্তু ঋদ্ধি চাইছেন না সেই সাংবাদিককে সামনে আনতে। কারও কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার ইচ্ছা তাঁর নেই বলেই জানিয়েছেন ভারতীয় দল থেকে বাদ যাওয়া উইকেটরক্ষক।
ঋদ্ধিমান সাহা। —ফাইল চিত্র
ঋদ্ধিমান সাহার সাক্ষাৎকারের আশায় বসেছিলেন এক সাংবাদিক। কিন্তু তাঁকে কোনও উত্তরই দেননি বাংলার উইকেটরক্ষক। সেই রাগে ঋদ্ধিকে হুমকি দিলেন তিনি। কে সেই সাংবাদিক? সেই সাংবাদিকের পরিচয় সামনে আনবেন না বলেই জানিয়েছেন ঋদ্ধি।
মঙ্গলবার ঋদ্ধি তিনটি টুইট করে লেখেন, ‘আমি আঘাত পেয়েছি এবং বিক্ষুদ্ধ হয়েছি। আমি চাইনি এই ধরনের পরিস্থিতি দিয়ে অন্য কাউকে যেতে হোক। সেই জন্যই মেনে নিইনি এই ধরনের আচরণ। সেই জন্যই ঘটনা সকলের সামনে তুলে ধরি, তবে আমি তাঁর নাম জানাতে চাই না। আমি এ রকম স্বভাবের নই যে এক জনের কেরিয়ার শেষ করে দেব। মনুষ্যত্ব বজায় রেখে আমি তাঁর নাম নিইনি। পরিবার, পরিজনের সামনে যাতে তাঁকে ছোট হয়ে যেতে না হয়। তবে এমন পরিস্থিতি যদি আবার তৈরি হয় তা হলে কিন্তু আমি থেমে যাব না। যাঁরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
শনিবার ঋদ্ধি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার ছবি পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে কোনও এক সাংবাদিক ঋদ্ধির সাক্ষাৎকার চাইছেন। কিন্তু ঋদ্ধি তাঁকে কোনও উত্তর দেননি। তখন সেই সাংবাদিক লেখেন, ‘আমি অপমান হজম করি না। এটা আমি মনে রাখব।’ সেই টুইটে ঋদ্ধি লেখেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য আমি যা করেছি, তারপর আমার এটা প্রাপ্য ছিল একজন ‘সম্মানিত’ সাংবাদিকের কাছ থেকে? সাংবাদিকতা এই জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে!’
ঋদ্ধির পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে নাম জানাতে বলেছিলেন প্রজ্ঞান ওঝা এবং হরভজন সিংহ। রবি শাস্ত্রী ভারতীয় বোর্ডের কাছে আবেদন করেন সেই সাংবাদিককে খুঁজে বার করার জন্য। কিন্তু ঋদ্ধি চাইছেন না সেই সাংবাদিককে সামনে আনতে। কারও কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার ইচ্ছা তাঁর নেই বলেই জানিয়েছেন ভারতীয় দল থেকে বাদ যাওয়া উইকেটরক্ষক।
ভারতীয় দলের ভিতরের কথা বাইরে বলা নিয়ে অনেকে ঋদ্ধির সমালোচনা করেছেন। সেই সম্পর্কে ঋদ্ধি এক সংবাদমাধ্যমে বলেন, “কোচ রাহুল দ্রাবিড় আমাকে কী বলেছেন, নির্বাচক চেতন শর্মা আমাকে কী বলেছেন সেগুলো সামনে চলে এল কী করে? শ্রীলঙ্কা সিরিজের দল নির্বাচনের আগেই সেই খবর এক সংবাদ সংস্থায় বেরিয়ে গিয়েছিল। সেটাও তো ব্যক্তিগত ছিল। সেটা কী করে সামনে এল? কেউ না কেউ তো সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে। সেটা নিয়ে তো প্রশ্ন ওঠেনি।”