গত শনিবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের দল ঘোষণা হয়। সে দিন রাতেই হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা চালাচালির একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেন ঋদ্ধিমান। ওই সাংবাদিক ঋদ্ধির সাক্ষাৎকার নিতে চাইছিলেন। ঋদ্ধি পাত্তা না দেওয়াতেই রেগে গিয়ে হুমকি দিতে থাকেন তিনি। ভারতীয় দলের ক্রিকেটারকে এ-ও বলে দেন, ‘অপমান আমি সহজে সহ্য করি না।’
ঋদ্ধিমান সাহা। —ফাইল চিত্র
ঋদ্ধিমান সাহার পাশেই রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ভারতীয় উইকেটরক্ষক একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা নেটমাধ্যমে পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায় নাম না জানা এক সাংবাদিক ঋদ্ধিকে হুমকি দেন, কারণ ঋদ্ধি তাঁকে সাক্ষাৎকার দিতে চাননি। এ বার ভারতীয় বোর্ড ক্রিকেটারদের এই ধরনের অভিযোগের তদন্ত করার জন্য কোনও সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবছে।
সূত্রের খবর, ভারতীয় বোর্ডের মধ্যে ক্রিকেটার, নির্বাচক, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ এবং আধিকারিকদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা জানতে পেরেছে একাধিক ক্রিকেটারের সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা সমাধানের দিকে নজর দিতে চাইছে বোর্ড। বোর্ডের এক কর্তা বলেন, “শুধু ঋদ্ধির একার ব্যাপার নয়, বোর্ড সকলের সমস্যাই শুনতে চায়। সেই জন্য কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে প্রয়োজন। তবে সংশ্লিষ্ট সবার অনুমতি লাগবে।”
বোর্ডের সেই কর্তা জানিয়েছেন অনেক ক্রিকেটারই অভিযোগ নিয়ে আসেন আধিকারিকদের কাছে। সেই সব সমস্যার সমাধান প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। সেই জন্য নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে চাইছে বোর্ড। বিসিসিআই-এর মতে এমন সংস্থাকে প্রয়োজন, যারা গোপনীয়তা বজায় রাখবে।
গত শনিবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের দল ঘোষণা হয়। সে দিন রাতেই হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা চালাচালির একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেন ঋদ্ধিমান। ওই সাংবাদিক ঋদ্ধির সাক্ষাৎকার নিতে চাইছিলেন। ঋদ্ধি পাত্তা না দেওয়াতেই রেগে গিয়ে হুমকি দিতে থাকেন তিনি। ভারতীয় দলের ক্রিকেটারকে এ-ও বলে দেন, ‘অপমান আমি সহজে সহ্য করি না।’
ঋদ্ধিমান সেই কথোপকথন নেটমাধ্যমে পোস্ট করার পরেই গোটা দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। একের পর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং বিশেষজ্ঞ তাঁর পাশে দাঁড়াতে থাকেন। ভারতীয় ক্রিকেটারদের সংস্থার প্রতিনিধি প্রজ্ঞান ওঝা লেখেন, ‘ওর নাম বলো ঋদ্ধি! ক্রিকেটারদের প্রতিনিধি হিসেবে আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি, গোটা ক্রিকেট সম্প্রদায় যাতে সেই সাংবাদিককে বয়কট করে, সেটা আমি নিশ্চিত করব!!’ বীরেন্দ্র সহবাগ লেখেন, ‘খুব দুঃখের ব্যাপার। এ ধরনের মন্তব্য যে করে তাঁকে সাংবাদিক বলাই উচিত নয়। স্রেফ চামচাগিরি। তোমার পাশে আছি ঋদ্ধি।’
হরভজন সিংহ লিখেছেন, ‘ঋদ্ধি তুমি শুধু এক বার নামটা বলে দাও যাতে গোটা ক্রিকেটসমাজ জানতে পারে কে এই সাংবাদিক। না হলে ভাল সাংবাদিকদেরও সন্দেহ করা শুরু হবে। কী ধরনের সাংবাদিকতা এটা?’ নিজের মন্তব্যে সৌরভ, জয় শাহ, অরুণ ধুমলকেও ‘ট্যাগ’ করেন ক্ষিপ্ত হরভজন।