মুম্বইকে সহজ জয় এনে দিল ব্র্যান্ট-ম্যাথিউজ জুটির আগ্রাসী ব্যাটিং। ছবি: বিসিসিআই
মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগে দিল্লি ক্যাপিটালসের পর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছেও হারল স্মৃতি মন্ধানার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। সোমবারও হরমনপ্রীত কৌরদের বিরুদ্ধে পারফরম্যান্স করতে পারলেন না মন্ধানারা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েও লাভ হল না আরসিবির। ১৮.৪ ওভারে ১৫৫ রানে শেষ হয়ে যায় বেঙ্গালুরুর ইনিংস। জবাবে ১৪.২ ওভারে ১ উইকেটে ১৫৯ রান মুম্বইয়ের। ৯ উইকেটে মন্ধানাদের হারালেন হরমনপ্রীতরা।
কম রানের লক্ষ্য থাকায় প্রথম থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করতে শুরু করেন মুম্বইয়ের ব্যাটাররা। সেই মেজাজেই তাঁরা জিতে নিলেন প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় ম্যাচ। ওপেনার যষ্ঠিকা ভাটিয়া অবশ্য সোমবারও বড় রান করতে পারলেন না। ১৯ বলে ২৩ রান করে আউট হলেন তিনি। উইকেটের অন্য প্রান্তে অবিচল ছিলেন অপর ওপেনার হিলি ম্যাথিউজ। তাঁর দাপুটে ব্যাটিং হরমনপ্রীতদের জয় আরও সহজ করে দিল। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন তিন নম্বরে নামা সিভার ব্র্যান্ট। ম্যাথিউজ অপরাজিত থাকলেন ৩৮ বলে ৭৭ রান করে। নিজের ইনিংসটি সাজালেন ১৩টি চার এবং ১টি ছয় দিয়ে। অন্য প্রান্তে ব্র্যান্টের ব্যাট থেকে এল অপরাজিত ৫৫ রানের ইনিংস। তাঁর ২৯ বলের ইনিংসে ছিল ৯টি চার এবং ১টি ছক্কা। অবিচ্ছিন্ন দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে তাঁরা তুললেন ১১৪ রান। বেঙ্গালুরুর কোনও বোলারই মুম্বইয়ের দুই ব্যাটারের আগ্রাসন থামাতে পারেননি। ৩৪ রান দিয়ে যষ্ঠিকার উইকেটটি নিয়েছেন রেণুকা সিংহ।
এর আগে সোফি ডিভাইনের সঙ্গে শুরুটা খারাপ করেননি মন্ধানা। আগ্রাসী মেজাজেই শুরু করেন তাঁরা। ১১ বলে ১৬ রান করে ডিভাইন আউট হওয়ার পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারাল ব্যাঙ্গালোর। তিন নম্বরে নামা দিশা কাসাত (শূন্য) রান পেলেন না। ১৩ রান করে রানআউট হলেন এলিস পেরিও। পাঁচ নম্বরে নেমে হেথার নাইটও প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরলেন। তাঁর আগেই আউট হয়ে যান মন্ধানা। আরসিবি অধিনায়কের ব্যাট থেকে এল ১৭ বলে ২৩ রান। পাঁচটি বাউন্ডারি রয়েছে তাঁর ইনিংসে। ৪৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যান তাঁরা।
এর পর বেঙ্গালুরুর ইনিংসের হাল ধরেন বাংলার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার রিচা ঘোষ। যদিও বড় ইনিংস খেলতে পারলেন না। তাঁর ব্যাট থেকে এল ২৬ বলে ২৮ রান। আরসিবির ইনিংসকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দিল কণিকা আহুজা (২২), শ্রীয়াঙ্কা পাতিল (২৩), মেগান শাটদের (২০) সম্মিলিত লড়াই।
বল হাতে সোমবারও নজর কাড়লেন বাংলার সাইকা ইশাক। ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন তিনি। মুম্বইয়ের সফলতম বোলার ম্যাথিউজ ২৮ রানে ৩ উইকেট পেলেন। ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট অ্যামেলিয়া কেরের। একটি করে উইকেট পূজা বস্ত্রকার এবং ব্র্যান্টের।