মগ্ন: কানপুরে রান পেতে মরিয়া অধিনায়ক রাহানে। ফাইল চিত্র
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরে এ বারে টেস্ট দ্বৈরথে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত এবং নিউজ়িল্যান্ড। দু’দলেরই ‘স্প্রিন্টার’রা জায়গা ছেড়ে দিয়েছে দূরপাল্লার দৌড়বীরদের। যাদের প্রয়োজন হবে এই পাঁচ দিনের টেস্টে। যে ফর্ম্যাট এক জন ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ পরীক্ষা নেয়।
টেস্ট ক্রিকেটই এক জন ক্রিকেটারের টেকনিক আর মানসিকতার সর্বোচ্চ পরীক্ষা নিতে পারে। এখানে দিনের তিনটি পর্বে ম্যাচ পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকে। কখনও এক দলের পক্ষে, কখনও অন্য দলের। আর দীর্ঘ সময় ধরে মনঃসংযোগ ধরে রাখাটাও ম্যাচের ফল ঠিক করে দেয়।
স্বীকার করছি, কানপুরের এই পিচটা আমি দেখিনি। যেখানে প্রথম টেস্ট হবে। তবে অতীতে ব্যাটাররা কিন্তু এখানে ভাল করেছে। এই পিচে বল ভাল ব্যাটে আসে। উইকেটে টিকে থাকতে পারলে রান করা সম্ভব। এই ধরনের পিচে চেতেশ্বর পুজারা আর কেন উইলিয়ামসন দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাট করার ক্ষমতা রাখে।
এখন ক্রিকেটে তো একটা শব্দ খুব চালু হয়েছে। ‘ওয়ার্কলোড’। অর্থাৎ, এক জন ক্রিকেটারের পরিশ্রমের মাত্রা। এই পরিশ্রমের কথা মাথায় রেখে দু’দলের কয়েক জন ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। এতে কিন্তু ‘টেস্ট’ কথাটার গুরুত্ব কমে যায়। কিন্তু কী করা যাবে। আধুনিক ক্রিকেট এ ভাবেই চলছে। ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে এত কথা হচ্ছে। আবার ওদেরই পরিশ্রমের মাত্রা ঠিক করে দিতে হচ্ছে। পরিশ্রম বেশি হবে বলে কেউ কী করে টেস্ট খেলার সুযোগ হাতছাড়া করতে পারে, তা আমার প্রজন্মের ক্রিকেটারদের পক্ষে বোঝা একটু কঠিন। যাই হোক এক জনের ‘অতিরিক্ত পরিশ্রম’ অন্য জনের কাছে সুযোগ এনে দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করার।
এই দ্বৈরথও কয়েক জনের সামনে সুযোগ এনে দিয়েছে। এরা নিজেদের প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে থাকবে। এই ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে দু’এক জন নতুন তারকা পেতেই পারি। ঘরের মাঠে ভারত তো প্রায় অপরাজেয়। আর সেই তকমা এই দুই টেস্টের সিরিজ়ে বদলে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা দেখছি না। (টিসিএম)