—প্রতীকী ছবি।
ইডেনে ম্যাচের টিকিটের কালোবাজারির তদন্তে এ বার ভারতের ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা বিসিসিআই-কে চিঠি পাঠাল ময়দান থানা। চিঠিতে বিসিসিআই সভাপতি অথবা তাঁর কোনও প্রতিনিধিকে আগামী ৭ নভেম্বর কাজের সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে থানায় আসার কথা বলা হয়েছে। মূলত, অনলাইনে টিকিট বিক্রি সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাওয়া হবে বলে লালবাজার সূত্রে খবর।
এ দিকে, ইডেনে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের টিকিটের কালোবাজারি বন্ধ করতে শনিবার রাতেও ধরপাকড় চলেছে। রাতে অভিযান চালিয়ে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা। ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু টিকিট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে টিকিটের কালোবাজারি-কাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৩।
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ ঘিরে দিন কয়েক আগে টিকিটের কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি ময়দান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক ব্যক্তি। অভিযোগের তদন্তে নেমে অনলাইনে টিকিট বণ্টন সংস্থার প্রতিনিধি এবং সিএবি-র প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ। প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। শনিবার সিএবির প্রতিনিধিরাও হাজির হয়েছিলেন ময়দান থানায়। তাঁদের সঙ্গেও কথা বলে পুলিশ। তার পরেই বিসিসিআই-কে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন তদন্তকারীরা। শনিবার সন্ধ্যায় এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে লালবাজার জানিয়েছে।
কালোবাজারিদের হাতে কী ভাবে টিকিট গেল, মূলত এই প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। অনলাইনের জন্য বরাদ্দ টিকিট কোন যোগসাজশে কালোবাজারিদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বা এর পিছনে কোনও চক্র কাজ করছে কি না, আপাতত এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘কী ভাবে কালোবাজারিদের হাতে এই টিকিটগুলো আসছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পিছনে কোনও চক্রও থাকতে পারে। সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’