ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে ভাঙন ধরানো তিতাসকে ঘিরে উচ্ছ্বাস ভারতের ক্রিকেটারদের। ছবি: আইসিসি।
মহিলাদের অনূর্ধ্ব ১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে দাপট ভারতীয় বোলারদের। ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারলেন না। ফাইনালের প্রথম থেকেই স্নায়ুর চাপে ভুগতে দেখা যায় তাঁদের। ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হল ১৭.১ ওভারে ৬৮ রানে।
টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠান ভারতীয় দলের অধিনায়ক শেফালি বর্মা। তাঁর সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না, তা প্রমাণ করে দিলেন ভারতীয় বোলাররা। নতুন বল হাতে দুই জোরে বোলারই ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা দলের ব্যাটিংয়ে ধস নামালেন। বাংলার তিতাস সাধুর সুইং সামলাতেই পারলেন না ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। ৪ ওভার বল করে মাত্র ৬ রান খরচ করে ২ উইকেট তুলে নিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ওভার প্রতি মাত্র ১.৫ রান খরচ করলেন হুগলির চুঁচুড়ার তিতাস। তিনি সাজঘরে ফেরালেন ওপেনার লিবার্টি হিপ (শূন্য) এবং চার নম্বরে নামা উইকেটরক্ষক-ব্যাটার সেরেন স্মেলকে (৩)। তিতাসের মতো কৃপণ না হলেও ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের অস্বস্তিতে রাখলেন অর্চনা দেবীও। তিনি আউট করলেন তিন নম্বরে নামা নিমাহ হল্যান্ড (১০) এবং ওপেনার তথা অধিনায়ক গ্রেস ক্রিভেন্সকে। শেষ পর্যন্ত তিনি ৩ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন। ভাল বল করলেন পার্শ্ববী চোপড়াও। ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন তিনি। আউট করলেন রিয়ানা ম্যাকডোনাল্ড-গে (১৯) এবং চেরিস পাভেলিকে (২)।
ইংল্যান্ডের কেউই ব্যাট হাতে দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। তাদের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ম্যাকডোনাল্ড-গে। ২৪ বলে ১৯ রানের ইনিংসটি তিনি সাজালেন তিনটি চারের সাহায্যে। প্রথম ওভার থেকেই উইকেট হারাতে শুরু করে ইংল্যান্ড। শুরুর চাপ তারা আর সামলাতে পারেনি। বরং ধারাবাহিক ভাবে সাজঘরে ফিরলেন ব্যাটাররা। উল্লেখযোগ্য কোনও জুটি তৈরি করতে পারলেন না ইংরেজরা। মাত্র ৫৩ রানেই ৮ উইকেট হারাল তারা। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড করল ৬৮ রান। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস খেললেন অ্যালেক্সা স্টোনহাউস এবং সোফিয়া স্মেল। দু’জনের ব্যাট থেকেই এল ১১ রান করে।
একটি করে উইকেট পেলেন শেফালি বর্মা, সোনম যাদব এবং মন্নত কাশ্যপরা। সেরা অবশ্য বাংলার তিতাসই। মহিলাদের প্রথম অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জেতার জন্য ভারতের দরকার ৬৯ রান।