ভারতকে হারিয়ে উল্লাস ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের। ছবি: পিটিআই।
নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয়ে গেলে পঞ্চম দিনে খেলা গড়াত। কিন্তু তা হল না। ভারত-ইংল্যান্ড চতুর্থ দিনের খেলা এক ঘণ্টা বেশি হল। খেলা শেষ হওয়ার কথা ছিল সাড়ে ৪টেয়। কিন্তু সাড়ে ৫টা পর্যন্ত হল খেলা। ক্রিকেটের এক বিশেষ নিয়মে খেলা এক ঘণ্টা বেশি হল।
সাধারণত টেস্ট ম্যাচ চলে সাত ঘণ্টা ধরে। এক একটি সেশন দু’ঘণ্টার। মাঝে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি থাকে ৪০ মিনিট ও চা বিরতি থাকে ২০ মিনিট। এক ঘণ্টার বিরতি ধরে মোট সাত ঘণ্টার খেলা হয়। ভারতে সাধারণত টেস্ট শুরু হয় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে। সেই নিয়মে দিনের খেলা শেষ হওয়ার কথা বিকাল সাড়ে ৪টেয়। কিন্তু হায়দরাবাদে তা দেখা গেল না।
খেলার ফলাফলের সম্ভাবনা তৈরি হলে তখনই আম্পায়ারেরা সাধারণত খেলার সময় বাড়িয়ে দেন। এই টেস্টেও সেটাই হয়েছে। প্রথমে আম্পায়ারেরা নজর দেন দিনের ৯০ ওভারের খেলা শেষ করার দিকে। চতুর্থ দিন সাড়ে ৪টেয় খেলা শেষ হলে ৯০ ওভার খেলা হত না। আলো থাকায় আধ ঘণ্টা সময় বাড়িয়ে দেন আম্পায়ারেরা। সেই সময় ভারতের ৭ উইকেট পড়েছিল। যদি বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভারতের ৭ উইকেটই থাকত তা হলে খেলার সময় আর বাড়ত না। কিন্তু ৫টা বাজার ঠিক আগেই পর পর ভারতের দুই উইকেট পড়ে যায়।
ভারতের ৯ উইকেট পড়ে যাওয়ায় আম্পায়ারের কাছে অতিরিক্ত আধ ঘণ্টা সময় চান ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস। আম্পায়ার সেই সময় দেন। যদি সাড়ে ৫টার মধ্যে ভারতের বাকি একটি উইকেট না পড়ত, তা হলে খেলা সেখানেই শেষ হয়ে যেত। কারণ, নির্দিষ্ট সময়ের থেকে সর্বাধিক এক ঘণ্টা অতিরিক্ত খেলা হতে পারে। তার বেশি হবে না। কিন্তু দিনের শেষ ওভারে মহম্মদ সিরাজ আউট হয়ে যাওয়ায় খেলা জিতে যায় ইংল্যান্ড।