গম্ভীর করেন ৯৭ রান এবং নিজেকে ব্যাটিং অর্ডারে উপরে তুলে আনা ধোনির অবদান ছিল ৯১ নট আউট। ধোনির ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতানো স্থান করে নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের রূপকথায়।
স্মরণীয়: ফাইনালে দুরন্ত ইনিংস খেলেন ধোনি। ফাইল চিত্র
২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালের সেই বহু চর্চিত সিদ্ধান্ত। দুরন্ত ফর্মে থাকা যুবরাজকে বসিয়ে নিজে ব্যাট করতে নামেন ধোনি। কেন? এ বার মুখ খুললেন স্বয়ং যুবরাজ সিংহ। একটি অনুষ্ঠানে যুবরাজ বললেন, “আমার আগে মাহির ব্যাট করতে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা দলগত ভাবেই নেওয়া হয়েছিল। গৌতম (গম্ভীর) আর বিরাটের মধ্যে যখন ভাল একটা পার্টনারশিপ চলছিল, তখন ড্রেসিংরুমে কথোপকথন হয়।’’
কী ছিল সেই কথোপকথন? যুবরাজের কথায়, ‘‘আমার মনে হয় বীরু (বীরেন্দ্র সহবাগ), সচিন, গ্যারি (কার্স্টেন) আর মাহির মধ্যে এই আলোচনাটা হয়। ওরা সম্ভবত ঠিক করে, ক্রিজে ওই সময় বাঁ হাতি-ডান হাতি জুটি রাখা দরকার। সেই সময়ে গৌতম আর বিরাট করছিল আর শ্রীলঙ্কার দু’জন অফস্পিনার বল করছিল।’’ বিশ্বকাপের ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট যোগ করছেন, ‘‘ওরা সিদ্ধান্ত নেয়, যদি বিরাট আউট হয়, মাহি যাবে যদি গৌতম আউট হয়, আমি যাব।’’
বিরাটই আউট হন এবং সম্ভবত সেই কারণে ফর্মে থাকা যুবির আগে ব্যাট করতে নামেন ধোনি। যদিও এই একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা রকম কাহিনি বাজারে রয়েছে। শোনা যায়, মুথাইয়া মুরলীধরনকে তিনি অনেক ভাল খেলতে পারবেন ভেবেই নিজেকে ব্যাটিং অর্ডারে উপরে নিয়ে এসেছিলেন ধোনি। তার আগে মুরলী খেলেছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসে, তাই তাঁকে নেটে খেলার প্রচুর অভিজ্ঞতা ছিল সিএসকে অধিনায়কের। ধোনি নিজেই নাকি কোচ কার্স্টেনকে গিয়ে বলেন, ‘‘মুরলী বল করছে, তাই আমিই আগে যাব।’’
প্রথমে ব্যাট করে ২৭৫ তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপ ফাইনালে সেই রানটাই আচমকা বড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল ধোনির ভারতের সামনে। ছয় ওভারের মধ্যে লাসিথ মালিঙ্গার গোলায় তারা হয়ে গিয়েছিল ৩১-২। শুরুতেই চলে গিয়েছিল সহবাগ আর সচিনের উইকেট। সেখান থেকে দুর্ধর্ষ প্রত্যাবর্তন ঘটানোর নায়ক ছিলেন দু’জন। গম্ভীর করেন ৯৭ রান এবং নিজেকে ব্যাটিং অর্ডারে উপরে তুলে আনা ধোনির অবদান ছিল ৯১ নট আউট। ধোনির ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতানো স্থান করে নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের রূপকথায়।