পাকিস্তানের হয়ে নিজেই টেস্ট খেলতে চাননি রিজ়ওয়ান। ছবি: টুইটার।
নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ে হতাশ নন মহম্মদ রিজ়ওয়ান। বরং খুশি! তিনি নাকি নিজেই নিজেকে জাতীয় দল থেকে বাদ দিতে চেয়েছিলেন! পরিবর্ত উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছিলেন কোচ সাকলিন মুস্তাককে।
এক সাক্ষাৎকারে নিজেই নিজেকে দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবি করেছেন রিজ়ওয়ান। তিনি বলেছেন, ‘‘ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ের পর আমি সাজঘরে কোচকে কী বলেছিলাম, তা সাকলিন মুস্তাককে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন। সরফরাজ়ের পারফরম্যান্স দেখে আমি খুব খুশি হয়েছিলাম। কারণ তেমনই চেয়েছিলাম। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমার পারফরম্যান্স একদমই ভাল ছিল না। তাই পরের সিরিজ়ে আমার দলে সুযোগ না পাওয়ারই কথা।’’ সরফরাজ়ের খেলায় খুশি রিজ়ওয়ান বলেছেন, ‘‘ঘরোয়া ক্রিকেট ভাল পারফরম্যান্স করছিল সরফরাজ়। সে সময় ওরই সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল। সরফরাজ় ভাল খেলায় খুশি হয়েছিলাম। ওকে দলে নেওয়ার জন্য আমিই কোচকে বলেছিলাম। যে বেশি ভাল খেলবে, তারই তো পাকিস্তানের হয়ে খেলা উচিত। আমি এটাই মনে করি।’’
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পাকিস্তান দলে উইকেটরক্ষক হিসাবে রিজ়ওয়ানের জায়গা পাকা হলেও টেস্ট দলে এখনই আবার সুযোগ পাওয়া কঠিন। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে সরফরাজ়ের পারফরম্যান্সের পর তাঁকে বাদ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিষয়টি জানলেও তা নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই রিজ়ওয়ানের। কারণ তিনি চান, পাকিস্তানের হয়ে সেরা ১১ জনই মাঠে নামুক। তাতে তিনি নিজেও স্বচ্ছন্দে জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি।
পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক সরফরাজ় ২০২১ সালের নভেম্বরের পর দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেননি। ২০২১ সালের এপ্রিলের পর দেশের হয়ে এক দিনের ক্রিকেটও খেলেননি। জাতীয় দল থেকে দীর্ঘ দিন দূরে থাকার পর আবার তিনি আলোচনায়। টেস্টের পর সাদা বলের ক্রিকেটেও জাতীয় দলে নিজের জায়গা ফিরে পেতে চান তিনি। পাকিস্তান সুপার লিগে রিজ়ওয়ান এবং সরফরাজ় দু’জনেই খেলবেন। এই প্রতিযোগিতা দু’জনের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। যিনি পারফরম্যান্সের বিচারে এগিয়ে থাকবেন, তিনি চলে আসবেন আগামী আসন্ন এশিয়া কাপ এবং এক দিনের বিশ্বকাপের ভাবনায়।
পাকিস্তান সুপার লিগের পর ঘরের মাঠে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় খেলবেন বাবর আজ়মরা। সিরিজ়ে হবে পাঁচটি করে এক দিনের এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। রিজ়ওয়ান সেই সিরিজ়ে দেশের হয়ে মাঠে নামতে মরিয়া। যদিও জানেন তাঁকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।