হর্ষিত রানা। ছবি: সমাজমাধ্যম।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাঁর অভিষেক হওয়া কার্যত নিশ্চিত ছিল। আগের দিন সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দলের সহকারী কোচও। তা সত্ত্বেও শনিবার হর্ষিত রানার অভিষেক হল না। অসুস্থতার কারণে যেতে পারলেন না মাঠেই। তবে রানা অসুস্থ হওয়ায় কেকেআরের কর্তাদের নিশ্চিত ভাবেই মুখে হাসি ফুটেছে।
শনিবার ভারতের ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই বোর্ডের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, ছোঁয়াচে সংক্রমণের কারণে তাঁকে এ দিন দলে নেওয়া হয়নি। তিনি দলের সঙ্গে স্টেডিয়ামেও আসেননি।
কেকেআরের খুশি হওয়ার কারণ আইপিএলের নিয়ম। মহা নিলামের আগে প্রতিটি দলই বিভিন্ন হিসাবনিকাশ কষছে। হর্ষিতের এ দিন অভিষেক না হওয়ায় তিনি ‘আনক্যাপড’ ক্রিকেটার হিসাবেই থেকে গেলেন। অর্থাৎ মহা নিলামে তাঁকে ধরে রাখতে গেলে কেকেআরকে মাত্র চার কোটি খরচ করলেই চলবে। তবে একবার অভিষেক হয়ে গেলে কেকেআরকে ন্যূনতম ১১ কোটি টাকা খরচ করতে হত। যে জিনিস দেখা গিয়েছে মায়াঙ্ক যাদব বা নীতীশ রেড্ডির ক্ষেত্রে।
শুক্রবার সহকারী কোচ রায়ান টেন দুশখাতে বলেছিলেন, “আমরা আগামী দিনে যত বেশি সম্ভব ক্রিকেটারকে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা দেওয়ার চেষ্টা করছি। হর্ষিত রানার মতো ক্রিকেটারদের খেলানোর চেষ্টা হতে পারে। আমাদের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল আগে সিরিজ় জেতা। তার পর নতুনদের সুযোগ দেওয়া।”