শাহরুখ খান। —ফাইল চিত্র।
ছ’জন ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। বলাই যায় সেই ছ’জন ক্রিকেটার প্রথম একাদশে জায়গা পাবেনই। প্রথম একাদশের জন্য বাকি পাঁচ জন ক্রিকেটারকে নেওয়ার জন্য নিলামে ঝাঁপাতে হবে নাইটদের। সেই সঙ্গে বেছে নিতে হবে কিছু পরিবর্ত ক্রিকেটারকেও। গত বারের আইপিএলজয়ী দলের হাতে ৫১ কোটি টাকা রয়েছে। কোন কোন ক্রিকেটারকে নিতে পারে কেকেআর?
দলে রয়েছেন কারা?
কেকেআর রেখে দিয়েছে সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেল, রিঙ্কু সিংহ, রমনদীপ সিংহ, হর্ষিত রানা এবং বরুণ চক্রবর্তীকে। নারাইন স্পিনার হলেও ওপেনার হিসাবে খেলতে পারেন। রাসেলও অলরাউন্ডার। তিনি পেস বোলিং করতে পারেন। মিডল অর্ডারে ব্যাটও করতে পারেন। রিঙ্কু এবং রমনদীপ ফিনিশার হিসাবে খেলতে পারবেন। হর্ষিত দলের এক জন পেসার। স্পিনার হিসাবে রয়েছে বরুণ।
কোন কোন জায়গায় ক্রিকেটার প্রয়োজন?
নারাইন ওপেনার হিসাবে খেললে কেকেআরের এক জন ওপেনার প্রয়োজন, যে জায়গায় গত বছর ফিল সল্ট খেলেছিলেন। ছিলেন রহমানুল্লা গুরবাজও। তাঁরা দু’জনেই উইকেটরক্ষক এবং ওপেনার ব্যাটার। এমন কাউকে পেলে এ বারেও সুবিধা হবে কেকেআরের। গত বারের অধিনায়ক শ্রেয়সকেও ছেড়ে দিয়েছে তারা। নেই নীতীশ রানাও। ফলে তিন এবং চার নম্বরে ব্যাট করতে পারবেন এমন দু’জন ব্যাটার প্রয়োজন কেকেআরের। পাঁচ নম্বরে এক জন অলরাউন্ডার হলে ভাল হয়। সেই সঙ্গে লাগবে এক জন পেসার। হর্ষিতের সঙ্গী হিসাবে এক জন অভিজ্ঞ পেসার হলেই ভাল হয়।
কোন কোন ক্রিকেটারকে নিতে পারে?
ওপেনার নারাইনের সঙ্গী হিসাবে সল্টকে নেওয়ার জন্য ঝাঁপাতে পারে কেকেআর। গত বছর নাইটদের হয়ে ১২ ম্যাচে ৪৩৫ রান করেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে সামলেছিলেন উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব। নিলামে তাই সল্টকে কেনার জন্য ঝাঁপাতে পারে কেকেআর। যদি সল্টকে না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে গুরবাজের জন্য ঝাঁপাতে পারে নাইটেরা। যদি ভারতীয় কাউকে চায় তা হলে রয়েছেন ঈশান কিশন। তিনিও ওপেনার এবং উইকেটরক্ষক। নেওয়া যেতে পারে ঋষভ পন্থকেও। তিনি ওপেনার না হলেও উইকেটরক্ষক। সেই সঙ্গে অধিনায়কের দায়িত্বও সামলাতে পারেন। ওপেনার, উইকেটরক্ষক এবং অধিনায়ক এই তিনটি দায়িত্ব সামলাতে পারবেন, এমন দু’জন ক্রিকেটার চাই কেকেআরের। যে জন্য বিরাট টাকা খরচ করতে হতে পারে।
কেকেআরের প্রয়োজন এক জন অভিজ্ঞ পেসার। গত মরসুমে এই দায়িত্ব সামলেছিলেন মিচেল স্টার্ক। এক সময় শোয়েব আখতার, শেন বন্ড, ব্রেট লি, ট্রেন্ট বোল্ট, মর্নি মর্কেলের মতো পেসার কেকেআরের হয়ে খেলেছিলেন। সেই দায়িত্ব এ বারে কে নেবেন? নাইটেরা ঝাঁপাতে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকার জেরাল্ড কোয়েৎজ়ির জন্য। সেই সঙ্গে গাস অ্যাটকিনসন, তাসকিন আহমেদের মতো পেসার নিলামে উঠবেন। থাকবেন জেমস অ্যান্ডারসনও। ভারতীয় কাউকে নিতে চাইলে মহম্মদ শামি, উমেশ যাদব অথবা মহম্মদ সিরাজকে নিতে পারে কেকেআর।
নাইট দলে স্পিনার হিসাবে নারাইন এবং বরুণ রয়েছেন। আর এক জন স্পিনারকে নিলেই কেকেআরের স্পিন বিভাগ তৈরি হয়ে যাবে। বিদেশি স্পিনার হিসাবে কাউকে নিলে আল্লা গজনফরকে নিতে পারে তারা। ভারতীয় কাউকে নিলে আবার সুযশ শর্মাকে ফেরাতে পারে কেকেআর। অভিজ্ঞ কাউকে নিতে চাইলে ভারতীয়দের মধ্যে রয়েছেন যুজবেন্দ্র চহাল, রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। তাঁদের মধ্যে কাউকে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে কেকেআর।
মিডল অর্ডারের জন্য রাচিন রবীন্দ্রের কথা ভাবতে পারে কেকেআর। ভারতীয়দের মধ্যে পন্থ ছাড়াও কেকেআর ভাবতে পারে সরফরাজ় খানের কথা। তাঁর ভাই মুশির খানকেও নিলামে নেওয়ার সুযোগ পাবে কেকেআর।
প্রয়োজন পরিবর্ত
রাসেল দলে থাকলেও তাঁর পরিবর্ত তৈরি রাখতে চাইবে কেকেআর। সেই জায়গায় কেকেআর ভাবতে পারে আফগানিস্তানের অজমাতুল্লা ওমারজাইয়ের কথা। তিনি ফর্মে রয়েছেন। নেওয়া যেতে পারে জফ্রা আর্চারকেও। ভারতীয়দের মধ্যে শার্দূল ঠাকুর নিতে পারেন রাসেলের জায়গা।
নারাইনের পরিবর্তও খুঁজতে হবে। মুজিব উর রহমানকে নিতে পারে কেকেআর। কিন্তু তাঁর ব্যাটিং অতটা ভাল নয়। তবে স্পিনার হিসাবে মুজিবের কথা ভাবতেই পারে কেকেআর। নেওয়া যেতে পারে মিচেল স্যান্টনারকেও। তিনি স্পিন বোলিংয়ের সঙ্গে ব্যাটিংয়েও কার্যকর।
দলে একাধিক ভারতীয় পেসার প্রয়োজন। সেই জায়গায় উমরান মালিকের কথা ভাবতে পারে কেকেআর। ভরত অরুণের মতো বোলিং কোচ রয়েছেন। তাঁর হাতে উমরান ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতেই পারেন।