বীরেন্দ্র সহবাগ। —ফাইল চিত্র।
ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট মানে টান টান উত্তেজনা। ২২ গজে দু’দেশের লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। মাঠের লড়াইয়ে কেউ কাউকে জমি ছাড়ে না। আবার মাঠের বাইরে দু’দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে রয়েছে বন্ধুত্ব। তাঁদের বন্ধুত্বের নানা গল্প শোনা গিয়েছে বিভিন্ন সময়। তেমনই এক বন্ধুত্বের গল্প শুনিয়েছেন বীরেন্দ্র সহবাগ। যে বন্ধুত্বে মাঠের লড়াইয়েও এক বার জমি ছেড়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ইনজামাম উল হক।
এক সাক্ষাৎকারে সহবাগ বলেছেন সেই মজার গল্প। ২০০৫ সালে পাকিস্তান দলের ভারত সফরের কথা বলেছেন প্রাক্তন ওপেনিং ব্যাটার। বেঙ্গালুরুতে টেস্ট ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল। সহবাগ চেনা আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করছিলেন। পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার দানিশ কানেরিয়া সমানে সহবাগের পায়ের কাছে বল ফেলছিলেন। ইনজামাম লং অনে এক জন ফিল্ডার রেখেছিলেন। সহবাগের বড় শট খেলা আটকাতে এমন পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তান।
ইনজামামদের পরিকল্পনায় সহবাগ বড় শট খেলতে পারছিলেন না। লং অনে ফিল্ডার থাকায় পায়ের কাছে পড়া বল তুলে মারতে পারছিলেন না। শতরান পূর্ণ করার পর আরও বেশি চালিয়ে খেলতে চাইলেও পারছিলেন না সহবাগ। এ ভাবে কানেরিয়ার কয়েকটি বল খেলার পর বিরক্ত লাগছিল সহবাগের। পাক অধিনায়ককে ফিল্ডিং পরিবর্তন করার অনুরোধ করেছিলেন তিনি। ইনজামামও তাঁর অনুরোধ মেনে নেন। সহবাগ বলেছেন, ‘‘ইনজামাম স্লিপে ফিল্ডিং করছিল। ওকে বললাম, ইনজি ভাই ছয় মারতে খুব ইচ্ছা করছে। লং অনের ফিল্ডারকে একটু এগিয়ে দাঁড়াতে বলবে? একটা বলের জন্য অন্তত ফিল্ডারকে এগিয়ে আন। ছয় মারতে না পারলে আবার বাউন্ডারি লাইনে পাঠিয়ে দিও।’’
কী হয়েছিল তার পর? সহবাগ বলেছেন, ‘‘কানেরিয়াকে না জানিয়েই ইনজি ভাই লং অনের ফিল্ডারকে এগিয়ে এসে মিড অনে দাঁড়াতে বলেছিল। বাউন্ডারি লাইনের বাকি ফিল্ডাররা আগের মতোই ছিল। কানেরিয়া একই জায়গায় গুগলি দিয়েছিল সেই বলটায়। ভাগ্য আমার সঙ্গ দিয়েছিল। আমি লং অন দিয়ে ছয় মেরে দিয়েছিলাম। কানেরিয়া পিছনে তাকিয়ে লং অনে ফিল্ডার না দেখে ইনজি ভাইয়ের উপর খুব রেগে গিয়েছিল।’’
২০০৫ সালের সেই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২০১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সহবাগ। যদিও ম্যাচটি ভারত হেরে যায় ১৬৮ রানে। চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য ৩৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২১৪ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দল।