আন্দ্রে রাসেল। —ফাইল চিত্র।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (২০২২ সালে) যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। এক দিনের বিশ্বকাপেও যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি তারা। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আয়োজক দেশ হিসাবে খেলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। তবে দলের জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ক্যারিবিয়ান কোচ ড্যারেন স্যামি।
স্যামি এক সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ় দলের অধিনায়ক ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই দু’বার টি-টোয়েন্টি (২০১২ এবং ২০১৬) বিশ্বকাপ জিতেছিল দল। তিনি বলেন, “টি-টোয়েন্টি দলকে নিয়ে আমরা গত বছর থেকে কাজ করছি। যে সব ক্রিকেটারকে আমরা খুঁজে বার করেছি, তারাই এখন ম্যাচ জেতাচ্ছে। আমার মনে হয় এ বারের প্রতিযোগিতায় আমরা পুরো বিশ্বকে নাড়িয়ে দেব।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজ় এ বছর নিজেদের ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলছে। সেটা দলের জন্য বাড়তি চাপের হতে পারে। ২০০৭ সালের এক দিনের বিশ্বকাপে ব্র্যায়ান লারা ছিলেন দলে। তার পরেও ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জিততে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। কিন্তু এ বারের দলকে নিয়ে আশাবাদী কোর্টলি অ্যাম্ব্রস। প্রাক্তন পেসার ২০১৬ সালে দলের বোলিং কোচ ছিলেন। সেই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ক্যারবিয়ান দল। তিনি বলেন, “বিশ্বকাপ জেতা সহজ নয়। কিন্তু আমরাই দু’বার বিশ্বকাপ জিতেছি। দু’একটা দলই এই সাফল্য পেয়েছে। আমরা তৃতীয় বার বিশ্বকাপ জেতার চেষ্টা করব। আর কোনও দল ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। সেটাও আমাদের কাছে বাড়তি অনুপ্রেরণার।”
গত বছর বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে না পারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। কিন্তু এ বারের দল অন্যরকম বলে মনে করছেন অ্যাম্ব্রস। তিনি বলেন, “ছেলেরা যদি ধারাবাহিকতা দেখাতে পারে এবং বুদ্ধি দিয়ে ক্রিকেট খেলে, তা হলে আমি বিশ্বাস করি এই দল ট্রফি জিততে পারে।”
আইপিএলেও ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারেরা সাফল্য পেয়েছেন। ফলে দলকে নিয়ে আশা রাখছেন সমর্থকেরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তারা টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। এই সাফল্য বাড়তি অনুপ্রেরণা দেবে দলকে।
২ জুন থেকে শুরু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই দিন পাপুয়া নিউ গিনির বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। গ্রুপ সি-তে রয়েছে তারা। সেই গ্রুপে রয়েছে আফগানিস্তান, উগান্ডা এবং নিউ জ়িল্যান্ড।