মাঠে শিশুর জীবন বাঁচিয়ে নায়কের সম্মান পাচ্ছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্রিকেটার। ছবি: টুইটার।
বাউন্ডারি বাঁচানোর জন্য দৌড়েছিলেন রভমান পাওয়েল। বাউন্ডারি লাইনের কাছে নিজের গতিও কমাতে পারেননি। তাতেই ঘটে যেতে পারত বড় বিপদ। সেই বিপদ এড়াতে গিয়ে আহত হলেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ় অধিনায়ক চার আটকাতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি ককের মারা বল ছুঁয়ে ফেলে বাউন্ডারি লাইনের দড়ি। বল ধরতে এগিয়ে আসে মাঠের বাইরে থাকা এক বল বয়। বয়স তার পাঁচ। শিশুটি পাওয়েলের এক দম সামনে চলে আসে। আর একটু হলে ধাবমান পাওয়েলের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগত একরত্তি ক্রিকেট শিক্ষার্থীর। গুরুতর আহত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের এই ক্রিকেটারের।
শিশুটিকে বাঁচাতে উপস্থিত বুদ্ধি ব্যবহার করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ় অধিনায়ক।
সংঘর্ষ এড়াতে শেষ মুহূর্তে ঝুঁকি নিয়ে গতিপথ পরিবর্তন করেন পাওয়েল। তাতে শিশুটি রক্ষা পেলেও আঘাত থেকে নিজে বাঁচতে পারলেন না পাওয়েল। তিনি গিয়ে ধাক্কা খান মাঠের ধারে রাখা বিজ্ঞাপনের ইলেকট্রনিক্স বোর্ডে। শুধু তাই নয়। বিল বোর্ডের পিছনে রাখা ছিল সাউন্ড বক্স। বিজ্ঞাপনের বোর্ড টপকে সেই সাউন্ড বক্সের উপর গিয়ে পড়েন পাওয়েল। চোট পাওয়ায় সেখানেই পাওয়েলের শুশ্রূষা করতে হয়। বেশ কিছু ক্ষণ পরে মাঠে ফেরেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ় অধিনায়ক। ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যমে। ক্রিকেটপ্রেমীরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ় অধিনায়কের উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করেছেন। তাঁর দ্রুত চোট মুক্তির কামনা করেছেন তাঁরা। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি ৬ উইকেটে হারলেও নায়কের মর্যাদা পাচ্ছেন পাওয়েল।
পাওয়েলের চোটের থেকেও বেশি আলোচনা হচ্ছে বল বয়ের বয়স নিয়ে। সাধারণত এত ছোট বয়সের ক্রিকেট শিক্ষার্থীদের বল বয় হিসাবে ব্যবহার করা হয় না। সেঞ্চুরিয়নের আয়োজকদের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মাত্র পাঁচ বছরের শিশুকে কেন একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে বল বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হল, তা নিয়ে আয়োজকদের বক্তব্য জানা যায়নি।