ঋষভ পন্থ। ফাইল ছবি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামার আগেই ধাক্কা ভারতীয় শিবিরে। চোটের জন্য সিরিজ থেকেই ছিটকে গেলেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। আহতের তালিকায় বাঁহাতি স্পিনার কুলদীপ যাদবও। এই পরিস্থিতিতে অধিনায়ক হয়েছেন ঋষভ পন্থ। সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে হার্দিক পাণ্ড্যকে।
যুদ্ধ শুরুর আগেই সেনাপতি সরে গেলে যে কোনও দলই মানসিক ভবে ধাক্কা খেতে পারে। ধাক্কা হয়তো ভারতীয় শিবিরেও লেগেছে। তাতে ভারতীয় দল টসের আগেই ‘ব্যাক ফুটে’ চলে যাবে, এমন ভাবার কোনও অবকাশ নেই। কারণ, এই দলে আগে থেকেই নেই বিরাট কোহলী, রোহিত শর্মা, যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামির মতো ক্রিকেটাররা। বাকিদের নিয়েই তৈরি হয়েছিল অভিজ্ঞতা-তারুণ্যে ভরা দল। যদিও রাহুল-কুলদীপ ছিটকে যাওয়ায় রণকৌশলে কিছু পরিবর্তন করবেন রাহুল দ্রাবিড়রা।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা যথেষ্ট শক্তিশালী দল। কুইন্টন ডি’কক, ডেভিড মিলার, এডেন মার্করাম, অনরিখ নোখিয়া, কাগিসো রাবাডার মতো ক্রিকেটাররা সম্প্রতি আইপিএল খেলে গিয়েছেন। ভারতের উইকেট এবং ক্রিকেটারদের সম্পর্কে তাঁদের অভিজ্ঞতা যথেষ্ট। সুতরাং ভারতীয় দল একদমই হালকা ভাবে নিচ্ছে না সফরকারীদের।
টি –টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশ্বরেকর্ডের সামনে ভারত। সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতলেই টানা ১৩টি কুড়ি ওভারের ম্যাচ জেতার নতুন নজির গড়বেন দ্রাবিড়ের ছেলেরা। ভারতীয় দলের কোচ অবশ্য বলে দিয়েছেন, তাঁরা রেকর্ডের কথা মাথায় রাখছেন না। দ্রাবিড় বলেছেন, ‘‘সত্যি বলতে আমরা রেকর্ড নিয়ে ভাবছি না। আমাদের নজরেও রেকর্ড নেই। ম্যাচ জিতলে সব সময়ই ভাল লাগে। কিন্তু রেকর্ড বা সংখ্যার দিকে তাকিয়ে খেলা যায় না। সব ম্যাচই আমরা জেতার জন্য খেলি। ভাল প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমে পরিকল্পনাগুলোর সঠিক প্রয়োগই আসল। সেগুলো সব ঠিকমতো হলেই ফল ভাল হয়।’’
তিনি আরও বলেছেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকা যথেষ্ট শক্তিশালী দল। সেটাই আমাকে বেশি উত্তেজিত করছে। এই সিরিজ আমাদের কাছে পরীক্ষার। অনেক তরুণ ক্রিকেটার এই সিরিজে খেলার সুযোগ পাবে, যারা আগে তেমন সুযোগ পায়নি। একটা ভাল দলের বিরুদ্ধে ওরা নিজেদের দেখে নিতে পারবে। যদি জয় পাই, পেলাম। না পেলে আমরা শিখব। পরের খেলার দিকে এগিয়ে যাব।’’
এই সিরিজেই প্রথম ভারতীয় ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন উমরান মালিক। দেশের হয়ে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের জোরে বোলার। আইপিএলে গতির জন্য নজরকাড়া উমরানের অজানা দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন এই সিরিজেই পূরণ হবে কি না। তিনি বলেছেন, ‘‘যখন টেনিস বলে খেলতাম, তখন ভূবি ভাই, শামি ভাই, বুমরাদের বোলিং দেখতাম। এখানে রাহুল স্যরের মতো বড় ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। উনি আমাকে পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করার কথা বলেছেন। পরশ (মামরে) স্যরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন।’’ ভারতীয় দলের পরিবেশ নিয়ে উচ্ছ্বসিত উমরান আত্মবিশ্বাসীও।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।