(বাঁ দিকে) বিরাট কোহলি এবং গৌতম গম্ভীর। — ফাইল চিত্র।
রাহুল দ্রাবিড়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভারতের নতুন কোচের সম্ভাব্য নাম নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। গৌতম গম্ভীর সবার থেকে এগিয়ে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এক জন গম্ভীরকে কোচ হিসাবে চাইছেন না। তিনি বিরাট কোহলির ছোটবেলার কোচ। তিনি চাইছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ভারতীয় দলের দায়িত্ব নিন।
এক সাক্ষাৎকারে দ্রোণাচার্য পুরস্কারজয়ী বলেছেন, “কোচের পদে কারা আবেদন করেছে তা জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। নতুন কোচ যেন ভারতীয়ই হয়। যদি ধোনি অবসরের কথা ঘোষণা করে, তা হলে ও ভাল বিকল্প হতে পারে। প্রচুর ক্রিকেট খেলেছে এবং অনেক প্রতিযোগিতায় জিতেছে।”
গম্ভীর ও কোহলির বিবাদ নতুন নয়। গম্ভীর যখন কেকেআরের অধিনায়ক, তখনই একটি ম্যাচে মাঠে বিবাদ হয়েছিল দুই ক্রিকেটারের। মাঠে তর্কের পরে ডাগ আউটে ফিরে চেয়ারে লাথি মারতেও দেখা গিয়েছিল গম্ভীরকে। পরে গত মরসুমে গম্ভীর লখনউয়ের মেন্টর থাকাকালীন একটি ম্যাচে দু’জনের মধ্যে বিবাদ হয়। প্রথমে লখনউয়ের ক্রিকেটার নবীন উল হকের সঙ্গে বিবাদ হয় কোহলির। তার মধ্যে ঢুকে পড়েন গম্ভীর। পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে দু’জনকে সরাতে হিমশিম খেয়েছিলেন সতীর্থেরা।
সেই তিক্ততা অবশ্য ভুলে গিয়েছেন দু’জনেই। এ বছর কলকাতা-বেঙ্গালুরু ম্যাচে দু’জনকে দেখা গিয়েছে হাসিমুখে কথা বলতে। গত বছরের বিবাদ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন গম্ভীর। কেকেআর মেন্টরের মতে, তাঁদের মধ্যে যা হয়েছিল তার থেকে অনেক বেশি রং চড়িয়ে দেখানো হয়েছিল। সেটা করেছিল সংবাদমাধ্যম।
ধোনি এখনও আইপিএল থেকে অবসর না নিলেও, কোচ হতে গেলে সেটা করতেই হবে তাঁকে। ধোনির ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। আপাতত তিনি পায়ের পেশির অস্ত্রোপচার করাবেন। তার পরে বাকি কিছু ভাববেন বলে জানা গিয়েছে। তবে ধোনির ঘনিষ্ঠমহলের মত, এত দ্রুত কোচিংয়ে আসতে রাজি নন ধোনি।
তবু রাজকুমারের মতে, ধোনি কোচ হলে সাজঘরে তাঁর প্রভাবটাই আলাদা হবে। তিনি বলেছেন, “সাজঘরে বাকি অনেকের থেকে বেশি সমীহ আদায় করে নেবে ধোনি। দীর্ঘ দিন ধরে ক্রিকেট খেলেছে। দলকে সঠিক পথে পরিচালনা করার দক্ষতাও রয়েছে ওর। ধোনি অধিনায়ক থাকার সময় সচিন তেন্ডুলকর, বীরেন্দ্র সহবাগ, রাহুল দ্রাবিড়, হরভজন সিংহ, অনিল কুম্বলের মতো ক্রিকেটার থাকলেও কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি।”