মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দেন বিরাট। —ফাইল চিত্র
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে না খেললেও এশিয়া কাপে ফিরবেন বিরাট কোহলী। রানের বিচারে শেষ দু’বছর একদমই ভাল যাচ্ছে না তাঁর। একটা সময় বিরাট মাঠে নামা মানে বড় রান স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। সেটাই এখন পাল্টে গিয়েছে। যদিও ফিটনেসের দিক থেকে বিরাট এখনও বাকিদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। স্লিপ, কভার অথবা বাউন্ডারি, সব জায়গায়তেই সমান দক্ষতার সঙ্গে ফিল্ডিং করতে পারেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে তাঁর প্রতিটা রান বাঁচানো বড় ভূমিকা নেয়। কিন্তু তাঁর মানসিক সুস্থতা? সেই নিয়েই মুখ খুললেন বিরাট।
বিরাটকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল রান না পাওয়া, সমালোচনা, চোট, হার এই সব কিছুর মাঝে নিজেকে মানসিক ভাবে ঠিক রাখা কতটা সম্ভব? উত্তরে বিরাট বলেন, “খেলার মাঠেই নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ থাকে। কিন্তু তার মাঝে থাকে সর্বক্ষণের চাপ। যেটা মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। শারীরিক ভাবে এক জন যতই সুস্থ থাকুক, মানসিক স্বাস্থ্য এক জনকে ভিতর থেকে তছনছ করে দিতে পারে। তরুণদের বলব তোমরা শারীরিক ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে জোর দাও, নিজেকে সুস্থ রাখো, সেই সঙ্গে নিজের মনের কথা শোনো।” আইপিএলের পর ঘুরতে গিয়েছিলেন বিরাট। সেই সময় তাঁকে একা সমুদ্রসৈকতে বসে থাকতে দেখা যায়। নিজের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন তিনি। বিরাট বলেন, “আমি নিজে অনেক সময় কাছের মানুষদের কাছে বসেও একাকিত্ব অনুভব করেছি। অনেক মানুষ হয়তো এটা বুঝতে পারবেন। নিজেকে সময় দেওয়া উচিত। নিজের মনের সঙ্গে যোগাযোগটা ঠিক রাখতে হবে। সেটা নষ্ট হয়ে গেলে খুব মুশকিল। কাজ এবং নিজের ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে একটা ভারসাম্য প্রয়োজন। এটা শিখতে হবে। এটা করতে পারলেই কাজের মধ্যে আনন্দ খুঁজে পাওয়া যাবে।”
ফিটনেস ঠিক রাখতে খাওয়াদাওয়ার দিকে বিশেষ ভাবে নজর দেন বিরাট। কিন্তু মাঝেমাঝে তাঁর অন্য কিছু খেতে ইচ্ছা করে না? ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, “আমি ছোলে-বাটুরে খেতে ভালবাসি। মাঝেমাঝে খেয়েও ফেলি। খেলেও কিন্তু নিজের ডায়েট ভুলি না। কখনও ডায়েট ফাঁকি দিই না। ভাজাভুজি খেলে সেই অনুযায়ী অনুশীলন করি যাতে আমার ফিটনেস না কমে।”
১৪ বছর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন বিরাট। সেই সময়ের বিরাটের সঙ্গে এখনকার বিরাটের অনেক তফাত। বৃহস্পতিবার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি। সেখানে তাঁর ১৪ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি রয়েছে।