বিরাট কোহলি। ছবি: পিটিআই।
রবিবার খেলেছিলেন ২৪ ওভার। সোমবার খেলতে হল ৫৭ ওভার। মঙ্গলবার আবার মাঠে নেমে ১০০ ওভার খেলতে হতে পারে। এশিয়া কাপে ভারতের কঠিন সূচিতে ক্লান্তির কথা জানালেন বিরাট কোহলি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শতরান করে দলকে জেতানোর পরে জানিয়ে দিলেন, শ্রীলঙ্কার এই গরমে টানা তিন দিন খেলা বেশ ক্লান্তির। পাশাপাশি এটাও বলে রাখলেন, টেস্ট ম্যাচে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবেন।
রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার পর সোমবার রিজার্ভ ডে-তে খেলা হয়েছে। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলা। ফলে টানা তিন দিনই ভারতকে মাঠে থাকতে হচ্ছে।
ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে এসে সঞ্চালক সঞ্জয় মঞ্জরেকরকে আগে ভাগেই কোহলি বলে দিলেন, “আমি অনুরোধ করব আপনি যাতে সাক্ষাৎকারটা খুব ছোট নেন। আমি প্রচণ্ড ক্লান্ত।” সেই ক্লান্তি নিয়ে মঞ্জরেকর প্রশ্ন করলেন কোহলির উদ্দেশে।
ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক একটানা বলে গেলেন, “মাঠে প্রচুর দৌড়ে রান নিয়েছি। প্রত্যেক সময়েই মনে হচ্ছিল, কাল আবার দুপুর ৩টের সময় আমাদের মাঠে নামতে হবে। ভাগ্য ভাল যে আমরা নিয়মিত টেস্ট খেলি। আমি ১০০টার উপর টেস্ট খেলেছি। তাই কী ভাবে পর দিন মাঠে নামতে হয় সেটা আমার জানা। তবে এটাও ঠিক, এই মাঠে প্রচণ্ড গরম। নভেম্বরে আমার ৩৫ বছর বয়স হবে। তাই শরীরের দিকে বাড়তি খেয়াল তো রাখতেই হবে। চাইব যত দ্রুত সম্ভব নিজেকে তৈরি করতে।”
সোমবার বৃষ্টির কারণে স্বাভাবিক সময়ে খেলা শুরু হয়নি। প্রায় দেড় ঘণ্টার বেশি দেরি হয়েছে শুরু হতে। মাঝেও বৃষ্টিতে অনেক ক্ষণ খেলা বন্ধ থেকেছে। পাকিস্তান পুরো ৫০ ওভার খেললে রাত প্রায় ১টা বেজে যেত ম্যাচ শেষ হতে। সে ক্ষেত্রে মাত্র কয়েক ঘণ্টার বিশ্রামে খেলতে নামতে হত কোহলিদের। তা না হওয়ায় বাড়তি কিছুটা বিশ্রাম পাচ্ছেন কোহলিরা।
তবে ক্লান্তির বিষয়টুকু ছাড়া বাকি সময়ে কোহলি উৎফুল্ল। উচ্চকিত প্রশংসা করলেন কেএল রাহুলের। বললেন, “রাহুল শুরুটা খুব ভাল করেছি। আমার কাজ ছিল খুচরো রান নেওয়া। রান চুরি করতে আমার খুব ভাল লাগে। খুব চেষ্টা করি দ্রুত দৌড়ে দুটো রান নেওয়ার। আজ খুব সহজেই সেটা হয়েছে।”
এ দিন শতরানের পর কোহলিকে রিভার্স র্যাম্প শট খেলতে দেখা গিয়েছে। অর্থাৎ রিভার্স সুইপের মতো স্টান্স নিয়ে ব্যাট দিয়ে চামচের মতো বলটিকে বাউন্ডারিতে ফেলা। কিছু দিন আগে অ্যাশেজ়ে এই শট হামেশাই খেলেছেন জো রুট। কিন্তু কোহলি স্বভাববিরোধী শট খেললেন কেন?
ম্যাচের পর তা নিয়ে কোহলির ব্যাখ্যা, “তখন শতরান হয়ে গিয়েছিল। তা ছাড়া এই শটের প্রতি আমার একটা আলাদা প্রেম রয়েছে। এ ধরনের শট সাধারণত খেলি না। কারণ আগে খেলতে পারিনি। আমি এবং কেএল দু’জনেই পুরনো ধাঁচের ক্রিকেটার। এ ধরনের শট খুব একটা খেলি না। কিন্তু আজ একটু সাহসী হতে ইচ্ছে করছিল।”