টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন কোহলী। ছবি: টুইটার থেকে
টি-টোয়েন্টির পর এ বার টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব থেকেও সরে গেলেন বিরাট কোহলী। শনিবার টুইটারে পোস্ট করে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ হারের পরেই এই সিদ্ধান্ত।
এক বিবৃতিতে কোহলী লিখেছেন, ‘গত সাত বছর ধরে প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম, একটানা ধৈর্য দেখিয়ে দলকে একটা সঠিক দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে এই কাজ করেছি এবং কিছু বাদ রাখিনি। কোনও একটা স্তরে এসে সবকিছুই একসময় থেমে যায় এবং টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে, আমার কাছেও এটাই থেমে যাওয়ার সময়।’
কোহলীর সংযোজন, ‘এই যাত্রাপথে অনেক উত্থান এবং কিছু পতন হয়েছে। কিন্তু কখনওই চেষ্টা বা বিশ্বাসের খামতি থাকেনি। যা-ই করি না কেন, বরাবর নিজের ১২০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যদি সেটা না পারি, তা হলে আমি জানি এটা সঠিক কাজ নয়। দলের প্রতি অসৎ হতে পারব না।’
আলাদা করে কোহলীর বিবৃতিতে উঠে এসেছে ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীর কথা। কোহলী লিখেছেন, ‘রবি শাস্ত্রী এবং বাকি সাপোর্ট স্টাফদের প্রশংসা প্রাপ্য। ভারতীয় দল যে ভাবে একটা গাড়ির মতো ধারাবাহিক ভাবে উপরে উঠে এসেছে, সেই গাড়ির ইঞ্জিন ছিলেন ওঁরা। আমার দর্শনকে সত্যি করার জন্য তোমাদের ভূমিকা অসামান্য।’
তবে কোহলীর বিবৃতিতে সব থেকে বেশি ধন্যবাদ পেয়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। কোহলী একদম শেষে লিখেছেন, ‘এমএস ধোনিকে সব থেকে বেশি ধন্যবাদ আমাকে অধিনায়ক হিসেবে যোগ্য মনে করার জন্য। ভারতীয় ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, এই বিশ্বাস ধোনির ছিল।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম বার টেস্ট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন কোহলী। প্রথম টেস্টে ধোনির চোট থাকায় কোহলী অধিনায়কের দায়িত্ব সামলান। সেই সিরিজেরই তৃতীয় টেস্টে অবসর ঘোষণা করেন ধোনি। ফলে শেষ টেস্টেও কোহলীকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়। তারপর থেকেই তিনি একটা ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক।
তবে ইদানীং চাপ বাড়ছিল কোহলীর উপর। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিজে থেকেই নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়ার পর একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়কের পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেয় বোর্ড। বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং কোহলীর তরজা দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে অন্যতম চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ হারতেই কোহলী সরে গেলেন টেস্ট ক্রিকেট থেকেও।