বিরাট কোহলি (বাঁ দিকে) এবং গৌতম গম্ভীর। — ফাইল চিত্র।
গত আইপিএলে লখনউ বনাম বেঙ্গালুরু ম্যাচে গৌতম গম্ভীর এবং বিরাট কোহলির মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। সেই ঝামেলা নিয়ে জল অনেক দূর গড়িয়েছে। অনেকে অনেক রকম মতামত দিয়েছেন। এত দিন পরে সেই নিয়ে মুখ খুললেন লখনউ দলে খেলা কাইল মেয়ার্স। গম্ভীর তাঁর দলের মেন্টর হলেও এই ঝামেলায় কোহলিরই পাশে দাঁড়িয়েছেন মেয়ার্স।
ঘটনার দিন মাঠেই ছিলেন তিনি। চোখের সামনেই সব দেখেছিলেন। তা দেখে মেয়ার্সের অভিমত, কোনও ভুল করেননি কোহলি। কোহলি এবং গম্ভীরের সেই ঝামেলা প্রসঙ্গে মেয়ার্স বলেছেন, “ব্যাপারটা আমার ভালই লেগেছিল। মাঝে মাঝে বিপক্ষের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হয়। তাতে জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মাঠে আগ্রাসন দেখানো আমার ভালই লাগে। এতেই একজন ক্রিকেটারের আসল সাহস বোঝা যায়। একজন ক্রিকেটার দলকে জেতানোর জন্যে কতটা মরিয়া সেটা প্রকাশ পায় তার এ রকম আচরণেই।”
গত ১ মে লখনউয়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে খেলতে নেমেছিল বেঙ্গালুরু। ম্যাচ চলাকালীন লখনউয়ের একটা করে উইকেট পড়ার পরে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে উল্লাস করছিলেন কোহলি। লখনউয়ের ডাগআউটের দিকে তাকিয়ে মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করে থাকার ভঙ্গি দেখান। স্ত্রী অনুষ্কা শর্মার দিকে চুমুও ছুড়তে দেখা যায় তাঁকে। আফগানিস্তানের ক্রিকেটার নবীন উল হক আউট হওয়ার সময়ও উত্তেজিত হয়ে উল্লাস করেছিলেন কোহলি। টুপি খুলে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন। সেটা হয়তো ভাল ভাবে নেননি নবীন। তাই হাত মেলানোর সময় কোহলিকে কিছু একটা বলেছিলেন লখনউয়ের বিদেশি ক্রিকেটার। পাল্টা কিছু বলেছিলেন কোহলিও। তার পরেই সেখানে এসেছিলেন গম্ভীর। তিনি কোহলিকে কিছু একটা বলেছিলেন। তার পরেই বিবাদ বেড়ে গিয়েছিল।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে দেখে সেখানে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন দু’দলের বাকি ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফেরা। কোহলি ও গম্ভীর দু’জনেই দিল্লির। লখনউয়ের স্পিনার অমিত মিশ্র ও সহকারী কোচ বিজয় দাহিয়াও দিল্লির হয়ে খেলেছেন। সেই কারণে তাঁরা কোহলি, গম্ভীরকে ভাল ভাবে চেনেন। তাঁরাই বেশি উদ্যোগী হয়ে দু’জনকে আলাদা করেছিলেন। লখনউয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও ছিলেন সেখানে। কোহলিকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন আরসিবির অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি। এর পরে ম্যাচ ফি-র পুরোটাই জরিমানা করা হয় বিরাটের। একই শাস্তি পেতে হয় গম্ভীরকেও। তুলনায় শাস্তি কম হয় নবীনের। তাঁর ম্যাচ ফি-র ৫০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়।