(বাঁ দিকে) বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মাকে রঞ্জি ট্রফি খেলার নির্দেশ দিতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ভারতীয় দলের দুই সিনিয়র ব্যাটার বেশ কিছু দিন ধরে ফর্মে নেই। বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে দু’জনেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁদের দলে থাকা নিয়ে প্রশ্নও উঠে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দু’জনকেই রঞ্জি ট্রফি খেলে নিজেদের নতুন করে প্রমাণ করতে হতে পারে।
বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে হারের পর ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স নিয়ে রিভিউ বৈঠক করেছেন বিসিসিআই কর্তারা। সেই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিয়েও। কোহলি এবং রোহিতের টানা ব্যর্থতায় উদ্বিগ্ন কর্তারা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, তাঁদের চলতি মরসুমে নিজেদের রাজ্যের হয়ে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।
২০১২ সালের পর রঞ্জি ট্রফিতে খেলেননি কোহলি। রোহিত শেষ বার খেলেছিলেন ২০১৫ সালে। ২০১৮ সালের ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনও ম্যাচ খেলেননি ভারতীয় দলের অধিনায়ক। সাধারণ ভারতীয় দলের হয়ে যাঁরা তিন ধরনের ক্রিকেটই খেলেন, সেই ক্রিকেটারদের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা নির্ভর করে বোর্ডের সিদ্ধান্তের উপর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধকল সামলানোর জন্য ভারতীয় দলের সদস্যেরা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা থেকে ছাড় পেয়ে থাকেন। কেউ দল থেকে বাদ পড়লে বা বড় চোট পেলে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে জাতীয় দলে ফিরতে হয়। আবার হার্দিক পাণ্ড্যর মতো যাঁরা জাতীয় দলের হয়ে সব ধরনের ক্রিকেট খেলেন না, তাঁদের দেখা যায় ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে। কোহলি এবং রোহিত আন্তর্জাতিক স্তরে তিন ধরনের ক্রিকেট খেলায় ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা তাঁদের জন্য বাধ্যতামূলক ছিল না। যদিও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কোহলিকে দিল্লির হয়ে এবং রোহিতকে মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।
আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে রঞ্জি ট্রফির দ্বিতীয় পর্ব। ভারত-ইংল্যান্ড এক দিনের সিরিজ় শুরু হবে ৬ ফেব্রুয়ারি। সেই সিরিজ়ের আগে ফর্মে না থাকা কোহলি এবং রোহিতকে রঞ্জি ট্রফির একটি বা দু’টি ম্যাচ খেলতে দেখা যেতে পারে। লম্বা ক্রিকেট মরসুম এবং চাপের কথা ভেবে তাঁদের একটি করে ম্যাচ খেলার কথা বলা হতে পারে।
কোহলি এবং রোহিতকে ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখার সম্ভাবনা তৈরি হলেও লোকেশ রাহুল বোর্ডের কাছে বিশ্রাম চেয়ে নিয়েছেন। কর্নাটকের হয়ে বিজয় হজারের ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনাল এবং রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলবেন না তিনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ের দলে থাকবেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলেও থাকতে পারেন। ভারতীয় দলে না থাকলে রাহুল ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন। তাই তাঁর বিশ্রামের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বোর্ড কর্তারা।
জাতীয় দল নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এ বার কড়া মনোভাব নিতে চলেছে ভারতীয় বোর্ড। ক্রিকেটারেরা আর নিজেদের ইচ্ছা মতো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় না খেলার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। কোনও সিরিজ় কেউ না খেলতে চাইলে, তাঁকে চিকিৎসা সংক্রান্ত উপযুক্ত প্রমাণ দাখিল করতে হবে। শুধু মাত্র অসুস্থতা এবং ফিটনেসের সমস্যা থাকলে তবেই বিশ্রাম দেওয়া হবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় থেকে। একাধিক সিনিয়র ক্রিকেটার অতীতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন। এই প্রবণতা বন্ধ করতে চান বিসিসিআই কর্তারা।