ফাইল চিত্র।
পুণেয় বেঙ্গসরকর ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে দশ বছর বয়সে খেলা শিখতে গিয়েছিল সে। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন ছিল বরাবর। কিন্তু বাঁ-হাতি স্পিনার হিসেবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই যে পাঁচ উইকেট নিতে পারবেন, তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি। তিনি ভিকি ওস্টওয়াল।
ভারতীয় ক্রিকেটের কর্নেলের কাছে ক্রিকেটের হাতেখড়ি ভিকির। কিন্তু প্রাক্তন তারকার নিয়মিত সময় দিতে পারতেন না। ফলে সেই ক্যাম্পের আর এক শিক্ষক মোহন যাদবই এই বাঁ হাতি স্পিনারকে তৈরি করার দায়িত্ব নেন।
ভিকিকে যে দিন প্রথম বার বেঙ্গসরকর দেখেছিলেন, মনে হয়েছিল ছেলেটি লম্বা রেসের ঘোড়া। আনন্দবাজারকে তিনি বলছিলেন, ‘‘ভিকির সবচেয়ে বড় গুণ, ও বল খুব ভাল ঘোরাতে পারে। সেই সঙ্গেই ফ্লাইট কম দেয়। জোরের উপরে স্পিন করাতে পারে বলেই ভিকি সফল।’’ যোগ করেন, ‘‘রবীন্দ্র জাডেজা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সফল হয়েছে জোরের উপরে বল ঘোরাতে পারে বলে। ভিকির মধ্যেও সে রকম প্রতিভা দেখতে পেয়েছি।’’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ জেতার পরে আজ, বুধবার ভারতের প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড। তাঁদের বিরুদ্ধে ভিকির উপরেই মূল ভরসা ভারতীয় দলের। যশ ঢুলও শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে সফল। কিন্তু ওপেনার হর্নুর সিংহ রান পাননি। তাঁর দিকে তাকিয়ে রয়েছে ভারতীয় দল। বেঙ্গসরকর যদিও বলছিলেন, ‘‘ভিকি কিন্তু ব্যাট হাতেও দুর্দান্ত। আমাদের এখানে অনূর্ধ্ব-১৪, অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে দুরন্ত ব্যাট করেছে। ওকে আমরা বোলার হিসেবে দেখি না। ও যোগ্য অলরাউন্ডার। ব্যাট করার সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই ও নিজেকে প্রমাণ করে দেখাবে।’’
ভিকির আরও এক কোচ মোহন যাদব বলছিলেন, ‘‘ভিকির বাবা ওর জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছে। প্রত্যেক দিন লোনাভলা থেকে পুণেয় যাতায়াত করা সহজ নয়। কিন্তু ও এক দিনও অনুশীলনে দেরি করে আসেনি। বাকিদের চেয়ে ভিকি এগিয়ে একটাই কারণে, ওর ট্রেনিংয়ে কোনও খামতি ছিল না। প্রত্যেক দিন তিন ঘণ্টা করে নেটে বল করত। জাডেজার ভিডিয়ো দেখত নিয়মিত। নতুন বলেও স্পিন করানোর চেষ্টা করত। আশা করব, বিশ্বকাপ জুড়ে ও এ রকমই সাফল্য অর্জন করতে থাকবে।’’