পুরুষদের আইপিএলে সাফল্যের পরে এ বার মহিলাদের আইপিএলের দিকে নজর দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ফাইল চিত্র
মহিলাদের আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্বও কিনে নিল মুকেশ অম্বানীর সংস্থা রিলায়্যান্সের ভায়াকম ১৮। বিসিসিআইয়ের সঙ্গে ২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত, অর্থাৎ ৫ বছরের চুক্তি করেছে তারা। মোট ৯৫১ কোটি টাকাতে সম্প্রচার স্বত্ব কিনেছে ভায়াকম। টুইটারে এ কথা জানিয়েছেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ।
মহিলাদের আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব কেনার লড়াইয়ে ভায়াকমের লড়াই ছিল ডিজ়নি স্টার, সোনি ও জি-এর বিরুদ্ধে। সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে ভায়াকম। টেলিভিশন ও ডিজিটাল দু’টি স্বত্বই কিনেছে তারা। এর জন্য ম্যাচপিছু ৭ কোটি টাকা করে দিতে হবে তাদের।
আগামী ৩ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত হতে পারে মহিলাদের প্রথম আইপিএল। মহিলাদের আইপিএল বাণিজ্যিক ভাবে সফল করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না ক্রিকেট কর্তারা। আগেই ছ’টি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির মালিকানা নেওয়ার জন্য আগ্রহী সংস্থাগুলির কাছে দরপত্র চেয়েছিল বোর্ড। বেশ কিছু সংস্থা দরপত্র দিয়েছে বলে বোর্ড সূত্রে খবর। পুরুষদের আইপিএলের একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি মহিলাদের দল কিনতে আগ্রহী বলে শোনা গিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কারা ছ’টি দলের মালিকানা পাবে, তা জানা যাবে আগামী ২৫ জানুয়ারি। সে দিন বিসিসিআই কর্তারা সফল সংস্থাগুলির নাম ঘোষণা করবেন। যে ছ’টি সংস্থা সর্বোচ্চ দর দেবে তারাই মহিলাদের আইপিএলের ছ’টি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির মালিকানা পাবে।
মহিলাদের আইপিএলের দলও হবে শহরভিত্তিক। কলকাতা, আহমেদাবাদ, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, দিল্লি, ধর্মশালা, গুয়াহাটি, ইনদওর, লখনউ এবং মুম্বই রয়েছে তালিকায়। শহরগুলিকে তাদের প্রধান ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দর্শকাসনের ভিত্তিতে বেছে নিয়েছে বিসিসিআই। কোন কোন সংস্থা দলের মালিকানা পাবে তা নিয়ে যেমন ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহ রয়েছে, তেমন কোন কোন শহর দল পাবে তা নিয়েও আগ্রহ তুঙ্গে।
প্রথম তিন বছর প্রতিযোগিতায় হবে মোট ২২টি করে ম্যাচ। লিগ পর্বের পর সেরা দুই দল সরাসরি ফাইনাল খেলবে। ২০২৬ সাল থেকে দলের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০ করার পরিকল্পনা রয়েছে বিসিসিআইয়ের। তখন ৩৩ বা ৩৪টি ম্যাচের প্রতিযোগিতা হতে পারে। সেই পরিকল্পনা অবশ্য এখনও চূড়ান্ত হয়নি। প্রতিযোগিতা থেকে বিসিসিআই যে লাভ করবে তার ৮০ শতাংশ ভাগ করে দেওয়ার হবে ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলিকে।