চর্চায়: বিশ্বকাপ দলে কি দেখা যাবে উমরানকে? ফাইল চিত্র
নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে আজ, শনিবার দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচ জিতলেই সিরিজ় নিশ্চিত করবে ভারত। রায়পুরে আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিষেক হচ্ছে। যে ম্যাচে স্টেডিয়াম ভরে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন আয়োজকরা। তাই রায়পুরের উইকেট কী রকম হতে পারে, তা নিয়ে কৌতূহল তুঙ্গে ভারতীয়সমর্থকদের মধ্যে।
ভারতীয় দল যদিও উইকেট নিয়ে ভাবছে না। তাদের মূল চিন্তা একটাই। পেস বিভাগে শার্দূল ঠাকুরকেই কি খেলানো হবে? নাকি দেশের মাটিতে বিশ্বকাপের কথা ভেবে দলে ফেরানো হবে উমরান মালিককে?
ভারতীয় দলের বোলিং কোচ পরস মামব্রে জানিয়ে দিয়েছেন, বিশ্বকাপের কথা ভেবেই উমরানকে রাখা হয়েছে ভারতের একদিনের ক্রিকেট দলে। শেষ ম্যাচে শার্দূল ঠাকুরকে কেন ফেরানো হল, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন পরস। ভারতীয় বোলিং কোচ বলেছেন, ‘‘উমরানের উন্নতি সত্যি নজর কাড়ার মতো। দলের জন্য ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। একদিনের ক্রিকেটে গতি কতটা জরুরি তা উমরানের বোলিংয়েই ফুটে ওঠে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ওকে খেলানো হবে কি না, তা নির্ভর করবে পিচ ও দল কী ভাবে সাজানো হবে, তার উপরে।’’
অক্টোবর-নভেম্বরে দেশের মাটিতে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ। সে দলে যে উমরানকে রাখা হতে পারে, সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়ে গেলেন বোলিং কোচ। পরসের কথায়, ‘‘বিশ্বকাপের ভাবনায় অবশ্যই আছে উমরান। ওর উপস্থিতি দলের শক্তি বাড়ায়। ও ভাল উন্নতি করছে। আশা করি, বিশ্বকাপের আগে আরও পরিণত হবে।’’ শেষ ম্যাচে শার্দূলকে কেন খেলালো হল সেই ব্যাখ্যাও দিলেন পরস। তাঁর কথায়, ‘‘বোলিংয়ের পাশাপাশি শার্দূলের ব্যাটিংও দলের শক্তি বাড়ায়। শেষ ম্যাচে ব্যাটিংয়ের গভীরতা বাড়ানোর জন্যই রাখা হয়েছিল ওকে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেও শার্দূলকে দলে রাখা হবে কি না, সেটা উইকেট দেখেই বোঝা যাবে। শার্দূল ভারতের হয়ে যে ক’টি ম্যাচ খেলেছে, ভাল ক্রিকেট উপহার দিয়েছে।’’
ভারতীয় দল যে যশপ্রীত বুমরার অভাব অনুভব করছে, তা মেনে নিয়েছেন পরস। তাঁর কথায়, ‘‘এটা মানতেই হবে, বুমরার পরিবর্ত কেউ হতে পারে না। ওর মতো বোলার সহজে পাওয়া সম্ভব নয়। তবে বুমরা দলে না থাকায় তরুণ পেসাররা সুযোগ পাচ্ছে। আমরাও চাইব, যত দ্রুত সম্ভব চোট সারিয়ে বুমরা ফিরুক।’’