Simon Taufel

Virat Kohli Umpire: আম্পায়ারিং করুক বিরাট, কেন এমন দাবি করলেন টফেল

ভারতীয় দলের একাধিক ক্রিকেটারকে আম্পায়ার হিসাবে দেখতে চান সাইমন টফেল। তবে সেই সঙ্গে এটাও মনে করেন যে সবাই এই কাজ পারবে না।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২২ ২১:৩৭
Share:

কেন আম্পায়ার হতে পারেন বিরাট? —ফাইল চিত্র

মাথায় সাদা টুপি, গায়ে সাদা জামা, কালো প্যান্ট পরে উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে বিরাট কোহলী। বল এসে ব্যাটারের প্যাডে লাগতেই আঙুল তুলে জানিয়ে দিলেন আউট। আম্পায়ার বিরাট কোহলী। কেমন হবে ব্যাপারটা? বিরাটকে এই রূপেই দেখতে চাইছেন সাইমন টফেল। প্রাক্তন আম্পায়ার মনে করেন খুব ভাল আম্পায়ার হতে পারেন বিরাট।

Advertisement

মাঠে তাঁদের একটি ভুল ম্যাচের ফল পাল্টে দিতে পারে। সারা দিন উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত দিলে কোনও কৃতিত্ব পাওয়া যায় না, কিন্তু একটি ভুল করলেই ক্রিকেটার থেকে সংবাদমাধ্যম সকলের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় আম্পায়ারদের। সাইমন টফেল জানেন কতটা কঠিন তাঁর কাজ। অভিজ্ঞ আম্পায়ার চান ভারতীয় দলের বর্তমান দুই ক্রিকেটার ভবিষ্যতে আম্পায়ারিং করুক।

এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টফেল বলেন, “আমি চাইব বিরাট কোহলী অথবা রবিচন্দ্রন অশ্বিন আম্পায়ারিং করুক। ক্রিকেটের আইন, খেলার পরিস্থিতি খুব ভাল বোঝে ওরা দু’জন।” ২০১২ সালে আম্পায়ারিং থেকে অবসর নেন টফেল। তিনি মনে করেন শুধু বিরাট বা অশ্বিন নন, বীরেন্দ্র সহবাগ ভাল আম্পায়ার হতে পারেন। সেই কথা এক বার বিধ্বংসী ব্যাটারকে বলেছিলেন টফেল।

Advertisement

টফেল বলেন, “সহবাগকে আমি আম্পায়ারিং করতে বলেছিলাম। এক বার ওকে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম আম্পায়ারিং করার জন্য। কারণ স্কোয়ার লেগে দাঁড়িয়ে সর্বক্ষণ আমাকে বলে যাচ্ছিল কোনটা আউট, কোনটা আউট নয়। কিন্তু ও রাজি হয়নি। ও আম্পায়ারিং করতে চায় না।” সহবাগ রাজি না হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন পেসার মর্নি মর্কেল আম্পায়ারিং করার কথা ভেবেছিলেন বলে জানান টফেল। তিনি বলেন, “আমি বেশ কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম আম্পায়ারিং করার ব্যাপারে। মর্কেল ক্ষুব উৎসাহী ছিল। কিন্তু এটা সবাই পারে না। একটা ব্যক্তিত্ব প্রয়োজন, সঙ্গে ইচ্ছাও থাকতে হবে আম্পায়ারিং করার।”

আম্পায়ারিংয়ের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে টফেল বলেন, “এটা মোটেই ক্লান্তিকর কাজ নয়, যদি না করাচি বা ওই ধরনের কোনও শুকনো পরিবেশে আম্পায়ারিং করতে হয়। ওখানে উইকেটে তেমন কিছু হয় না। তবে আম্পায়ারিং সকলের জন্য নয়। খুব চ্যালেঞ্জিং কাজ। অনেকেই বলে এত দীর্ঘ সময় ধরে মনোযোগ কী ভাবে রাখা সম্ভব? আমি বলব দীর্ঘ সময় ধরে নয়, ছোট ছোট ভাগে দেখতে হবে ম্যাচটাকে। এটা বেশ আনন্দের।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement