সৌরভ, জয়দের দিকে তাকিয়ে ইউক্রেন। ফাইল ছবি।
রাশিয়ার সামরিক অভিযানের মধ্যেও খেলাধুলোর প্রসার নিয়ে ভাবছেন ইউক্রেনের ক্রীড়া কর্তারা। সেই তালিকায় রয়েছে ক্রিকেটও। ইউক্রেনের ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতে আইসিসির কাছে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারতে ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে তারা।
দেশে ক্রিকেট খেলার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে আইসিসির সদস্য পদ চায় ইউক্রেন। ইউক্রেন ক্রিকেট ফেডারেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ কোবাস অলিভার বলেছেন, ‘‘আইসিসির অ্যাসোসিয়েট সদস্য হওয়ার জন্য আমরা সব শর্তই পূরণ করেছি। আমাদের দেশে ক্রিকেটের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে হলে দ্রুত সদস্য পদ প্রয়োজন।’’ তাঁদের আশা চলতি মাসেই বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার বৈঠকে তাঁরা অ্যাসোসিয়েট সদস্য পদ পেতে পারেন।
অলিভার বলেছেন, ‘‘রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন শুরুর আগেই আমরা সদস্য পদের জন্য সব শর্ত পূরণ করেছি। আমরা যে পদ্ধতিতে এগিয়েছি, তাতে আমাদের আস্থা রয়েছে। ইউক্রেনকে আইসিসি স্বীকৃতি দেবে বলেই আমার বিশ্বাস।’’ অলিভার নিজে দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ। তিনি ইউক্রেনের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য নিজের দেশের সাহায্য নিচ্ছেন। ইউক্রেন ক্রিকেট ফেডারেশনের সভাপতি এক জন ভারতীয়। তিনি হরদীপ সিংহ। দেশের প্রতিশ্রুতিমান ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণের জন্য কথা বলেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে। বিসিসিআই ইউক্রেনের ক্রিকেটারদের ভারতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে বলে দাবি তাঁর। কিভেও ক্রিকেট প্রশিক্ষণের আধুনিক পরিকাঠামো তৈরি করেছেন হরদীপরা।
অলিভারের বক্তব্য, ক্রিকেটের উন্নতির জন্য তাঁরা অনেকটা পথ এগিয়েছেন। আরও অনেক পথ তাঁদের যেতে হবে। সেজন্যই দরকার আইসিসির সক্রিয় সাহায্য এবং সমর্থন। এই সময়ে আইসিসি পাশে না দাঁড়ালে, ক্রিকেট নিয়ে যেটুকু উৎসাহ তাঁরা তৈরি করতে পেরেছেন,তা কাজে লাগবে না। থমকে যাবে ইউক্রেনের ক্রিকেট।
ইউক্রেনের ক্রিকেট দল। ছবি: টুইটার
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলার স্বীকৃতি ইউক্রেনকে আগেই দিয়েছে আইসিসি। ক্রিকেটের প্রসার এবং উন্নতির জন্য চলতি বছরে আইসিসি ৯৬টি অ্যাসোসিয়েট সদস্য দেশকে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৪০ কোটি টাকা দিয়েছে। অর্থ সাহায্য পেয়েছে ইউক্রেনও। গত দু’দশক ধরে ইউক্রেন ক্রিকেট খেলছে। বিভিন্ন বয়সের প্রায় ১৫ হাজার ক্রিকেটার রয়েছে সে দেশে। যাদের অধিকাংশই অনাবাসী ভারতীয় বা দক্ষিণ এশীয়।