ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সদর সফতর। —ফাইল চিত্র।
লক্ষ্য শুধু ক্রিকেটীয় দক্ষতা বৃদ্ধি নয়। বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির লক্ষ্য দেশের তরুণ ক্রিকেটারদের সফল পেশাদার ক্রিকেটার হিসাবে গড়ে তোলা। তাই ক্রিকেট ছাড়াও নানা রকম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
শুধু ভাল ক্রিকেট খেললেই হবে না। ভাল করে জানতে হবে খেলার নিয়ম-কানুন। কোনও সিদ্ধান্ত ঠিক না ভুল, তা বোঝার জন্য তাকিয়ে থাকতে হবে না সাজঘরে থাকা কোচ বা অন্যদের দিকে। তাই বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে থাকা অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেটারদের দেওয়া হল আম্পায়ারিংয়ের প্রশিক্ষণ। ক্রিকেটের বিভিন্ন নিয়ম ভাল করে তাঁদের বোঝানোর জন্য এই উদ্যোগ। খেলার কোন পরিস্থিতিতে আম্পায়ারেরা কী সিদ্ধান্ত নেন এবং কেন নেন সেই সব বোঝানো হল তরুণ ক্রিকেটারদের।
ছোট বয়স থেকেই ক্রিকেটারদের ফিটনেস বিশ্বমানের করার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। কী ধরনের খাবার খাওয়া উচিত, কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলা দরকার সে সবও শেখানো হচ্ছে অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেটারদের। ফিটনেস ট্রেনিংয়েও আনা হয়েছে বদল।
ক্রিকেটের নানা দিকে পাশাপাশি আরও একটি গুরুত্ব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তরুণদের। তা হল ‘ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট’ বা আর্থিক ব্যবস্থাপনা। টাকা কী ভাবে সুরক্ষিত রাখতে হয়, কী ভাবে বিনিয়োগ করলে লাভজনক হয় সে সবও তরুণ ক্রিকেটারদের শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। আইপিএলের দৌলতে তরুণ ক্রিকেটারদের একাংশ এখন ভাল টাকা আয় করেন। অভিজ্ঞতার অভাব বা না জানার ফলে সেই টাকা ঠিক মতো ব্যবহার এবং বিনিয়োগ করতে পারেন না তাঁরা। তাই এই দিকটিতেও নজর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা।
জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান এখন ভিভিএস লক্ষ্মণ। তাঁর নেতৃত্বে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তরুণ ক্রিকেটারদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে তারা সফল পেশাদার ক্রিকেটার হতে পারে ভবিষ্যতে। বোর্ড কর্তাদের আশা, সার্বিক প্রশিক্ষণ ছোটদেরও ক্রিকেটকে পেশা হিসাবে নেওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করবে।